পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প যদি পাকিস্তানের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তাহলে মেধা পাচার কমে আসবে। তখন পাকিস্তানিরা নিজ দেশের সমস্যা সমাধানের দিকে নজর দেবেন। তারা পাকিস্তানকে আরও ভালো অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। রোববার পাঞ্জাবের শাহিওয়ানে এক দলীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। পিটিআই প্রধান বলেন, সব পাকিস্তানিদের উদ্দেশে বলতে চাই, আমি কামনা করছি ট্রাম্প যেন পাকিস্তানি ভিসা নিষিদ্ধ করেন। এতে আমরা নিজ দেশের প্রতি মনোযোগী হবো। ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে সবাই পাকিস্তানকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কাজে সহায়তা করবে। জনগণের চেষ্টা ও অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই কেবল পাকিস্তান উন্নতি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতারও সমালোচনা করেন ইমরান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মাথাব্যথা হলেও চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে ছুটে যান। ইমরান খান বলেন, উচ্চশিক্ষিত পাকিস্তানিরা দেশ ছাড়তে চাইছেন। কারণ তারা মনে করেন, একটা ক্ষমতাধর উৎস থাকলেই কেবল ভালো চাকরি পাওয়া যায়। যেদিন আমরা পাকিস্তানে মেধাভিত্তিক দিন ফিরিয়ে আনতে পারবো; সেদিন আমাদের সব সেরা নাগরিকরা দেশে ফিরে আসবেন। তারা দেশের জন্য কাজ করবেন। শুক্রবার নির্বাহী আদেশে সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে দুনিয়াজুড়ে নিন্দার মুখেই রোববার তিনি মুসলিমদের ঠেকাতে সীমান্তে কঠোরতা দ্বিগুণ করার নির্দেশ দেন। আর হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে সাতটি মুসলিম দেশের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলেও এ তালিকায় আরও মুসলিম দেশের নাম অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। বর্ধিত তালিকায় সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মতো দেশের নাম থাকতে পারে বলে জানা গেছে। এনবিসি নিউজ-কে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রেইবাস। তিনি বলেছেন, এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নাগরিকরা পড়বেন না। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় তাদের কঠোরভাবে যাচাই করা হবে। এদিকে, গত রোববার এক টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন কঠোর যাচাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা; যাতে করে দেশটির কোথাও ভয়ঙ্কর কা- এড়ানো যায়। টুইটে একইসঙ্গে ট্রাম্প মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশের প্রয়োজন কঠোর সীমান্ত ও চূড়ান্ত রকমের যাচাই প্রক্রিয়া। এর কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প আবার টুইট করেন। এবার মধ্যপ্রাচ্যে খ্রিস্টান ধর্মালম্বীরা হত্যার শিকার হচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি লিখেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে অনেক খ্রিস্টানদের হত্যা করা হচ্ছে। এই নৃশংসতা আমরা চলতে দিতে পারি না। শুক্রবার এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়া গ্রিনকার্ডধারীরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সূত্র: ডন, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।