Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শরণখোলায় নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের বিশাল এলাকা আবারও দেবে গেছে

নদীশাসন ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শরণখোলা উপজেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটের শরণখোলায় বলেশ্বর নদী তীরে নির্মাণাধীন আধুনিক, উঁচু ও টেকসই বেড়িবাঁধের বগী এলাকার ২৪ কিলোমিটার পয়েন্টে শনিবার রাত ১০টার দিকে বিশাল এলাকাজুড়ে দেবে গেছে। ঘটনার পরপরই বাঁধ মেরামত কাজ শুরু করেছে চায়না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। নদীশাসন ব্যবস্থা না করে বড় ধরনের এ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় এর স্থায়ীত্ব নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর আগেও একাধিকবার বিশাল জায়গাজুড়ে বেড়িবাঁধ দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ইতোমধ্যে নদীশাসন বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেও কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ উঠেছে পাউবো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ওই সময় বগী সøুইস গেট এলাকার ২৪ কিলোমিটার পয়েন্টের বিশাল এলাকায় ফাটল দেখতে পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের খবর দেয়। এরই মধ্যে দেবে যেতে থাকে ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধের ওই এলাকা। এ সময় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। আস্তে আস্তে দেবে যাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। রাত ১১টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিইআরপি, বিশ্বব্যাংক ও কনসাল্টিং ফার্ম রয়েল হেসকোনি এবং ডেপকনের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে ছয়-সাতটি এসকেভেটর দিয়ে রিং বাঁধ দেয়ার কাজ শুরু করে।
হেসকোনির প্রকৌশলী শ্যামল দত্ত জানান, রিং বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।
শরণখোলা বেড়িবাঁধ নির্মাণ বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বান এম এ রশিদ আকন ও নদীশাসন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম জানান, তারা প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন নদীশাসন করে বেড়িবাঁধ নির্মাণের। সিডরের পর শরণখোলাবাসীকে বাঁচানোর জন্য সরকার প্রায় অর্ধ সহস্র কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু নদীশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় এর স্থায়ীত্ব কতখানি হবে- তা এখন বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীশাসনের ব্যবস্থা না থাকায় তারা পাউবো কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শরণখোলা

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ