Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শরণখোলায় সীমানা বিরোধ সংঘর্ষে ১১ জন আহত

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২২, ১২:০৬ এএম

বাগেরহাটের শরণখোলায় দুই প্রবাসীর বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে উভয় পক্ষের ১১জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুত তিন জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে উপজেলা হাসপাতালের সামনে সৌদি প্রবাসী জামাল নূর হাওলাদার এবং অপর সৌদি প্রবাসী ফরিদ উদ্দিন মানিক হাওলাদার গ্রæপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জামাল গ্রæপের আহতরা হলেন- শফিকুল হাওলাদার (৫০), সোবাহান হগাওলাদার (৪৮), জাকির হাওলাদার (৩০), রনি হাওলাদার (২২), আ. রহিম হাওলাদার (১৮), রবিউল হাওলাদার (৩৫) এবং ইমন হাওলাদার (২২)। এদের মধ্যে শফিকুলের বাম পা এবং সোবাহানের কলারবোন ভেঙে গেছে। এই দুজনকে খুলনা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। বাকি পাঁচ জনকে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিপক্ষ মানিক হাওলাদার গ্রæপের মাথায় গুরুতর জখম আসলাম হাওলাদারকে (৪৫) পাঠানো হয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতপাতালে। এছাড়া, ফরিদ উদ্দিন মানিক, জাকির হোসেন ও নান্না মিয়া তালুকদার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। জামাল নুর সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল আল হাছা প্রাদেশিক কেন্দ্রিয় বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এবং মানিক হাওলাদার শরণখোলা বিএনপিরসহ সাধারণ সম্পাদক। সৌদি প্রবাসী জামাল নূরের ভাই আ. সালাম হাওলাদার জানান, পাশাপাশি জমির সীমানা নিয়ে তাদের সঙ্গে মানিক হাওলাদারের বিরোধ চলছে। মানিক গ্রæপ জোরপূর্বক বিরোধপূর্ণ জমিতে পাকাইমারত (বিল্ডিং) নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এতে বাধা দিলে তারা দা, লাঠিসোটা, লোহার রড নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অপরদিকে প্রতিপক্ষের মানিক হাওলাদার বলেন, আমার বাড়ির মধ্যে জামালের কোনো জমি নেই। আমি আমার সীমানার মধ্যেই বসবাস করছি। কিন্তু তারা গায়ের জোরে আমার মধ্যে জমি দাবি করছে। আমার বাড়ির মধ্যে জোরপূর্বক প্রবেশ করে কেয়ারটেকার আসলামকে পিটিয়ে মাথার হাড় ভেঙে দিয়েছে। পরবর্তী হামলার ভয়ে আমরা তিন জন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছি।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আশফাক হোসেন জানান, হাসপাতালে ৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুমেকে রেফার্ড করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান জানান, তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শরণখোলা

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ