নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আসরে গত ক’য়েক মৌসুমে দু’দলের চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টো। এক দল রেকর্ড টানা ১৬ বার শেষ ষোলয় পা রেখেছে বটে কিন্তু গত ৫ বারই বিদায় নিতে হয়েছে এই পর্ব থেকেই। আরেক দল রেকর্ড ১০ বার অপরাজিত থেকে পৌঁছেছে নক-আউট পর্বে, ২০০৭/০৮ মৌসুম থেকে খেলছে কোয়ার্টার ফাইনাল। প্রথম দলটি আর্সেনাল, আর দ্বিতীয়টি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। আজ রাতে এমিরেটস স্টেডিয়ামে শেষ ষোলর লড়াইয়ে নামছে এই দুই দল।
টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থেকেই আজ লন্ডনে খেলবে বার্সেলোনা। ফর্মের তুঙ্গে ‘এমএসএন’ ত্রয়ীও। গত ৭ এ্যাওয়ে ম্যাচে সুয়ারেজের গোল ১২টি। ৬ ম্যাচে ৭ গোল মেসিরও, লাস পালমাসের বিপক্ষে গোল পেয়েছেন নেইমারও। পরিসংখ্যানও বলছে গানারদের ওপরে ছড়ি ঘুরিয়েছে কাতালানরাই। পরস্পরের ৭ বারের সাক্ষাতে ৪ জয় ও ২টি ড্র স্প্যানিশ দলটির, ১টি জয় আর্সেনালের। ২০০৯/১০ মৌসুমে বার্সার কাছে হেরেই আর্সেন ওয়েঙ্গারের দলকে বিদায় নিতে হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। এরপর প্রতিবার নক-আউট পর্বে পা রাখলেও কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া হয়নি একবারো। ২০০৬ সালের ফাইনালে প্যারিসের স্টেডি ডি ফ্রান্সে এগিয়ে থেকেও ২-১ গোলে হারের ইতিহাসটাও নিশ্চয় এখনো নাড়া দেয় ওয়েঙ্গারকে। তবে আর্সেনালকে প্রথম হারিয়ে বার্সেলোনার অধিপত্যের শুরুটা সেই ১৯৯৯/২০০০ মৌসুমে। গ্রæপ স্টেজে ঘরের মাঠে সেবার ১-১ গোলে ড্র করার পর অ্যাওয়ে ম্যাচে ৪-২ গোলে জিতেছিল বার্সা। কাতালানদের হয়ে সেদিন ২য় গোলটি করেছিলেন দলের বর্তমান কোচ লুইস এনরিকে!
লন্ডনের দলটির বিপক্ষে ৪ বারের সাক্ষাতে সর্বোচ্চ ৬ গোল লিওনেল মেসির। গানারদের যুদ্ধটা তাই ফুটবল জাদুকরের বিপক্ষেও। অথচ ওয়েঙ্গারের দৃষ্টি এখন লুইস সুয়ারেজের দিকেÑ ‘সুয়ারেজ এমন একজন খেলোয়াড় যে সময়মত দলের প্রয়োজনে জ্বলে ওঠে। আমরা তাকে ঠেকিয়ে রাখতে চাইব।’ সুয়ারেজের ‘সহকর্মীদের মধ্যে অন্তরঙ্গতা ও পরস্পরের প্রতি আস্থা’ এই গুনটাই সবচেয়ে ভালোলাগে ওয়েঙ্গারের। যে কারণে ২০১৩’র গ্রীষ্মকালীন দলবদলে এই উরুগুয়ান তারকাকেই দলে ভেড়াতে চেয়েছিলেন ওয়েঙ্গার।
এতসব হিসাবের মাঝেও এদিন দৃষ্টি থাকবে আরো একজনের ওপর, অ্যালিক্সিস সানচেস। ২০১৪’র গ্রীষ্মকালীন দলবদলে কাতালান থেকে যোগ দেন গানার শিবিরে। তার পরিবর্তে কাতালান দলে আসে সুয়ারেজ। লন্ডনে অবশ্য চোটের কারণে মাঠের বাইরেই তাঁকে থাকতে হয়েছে বেশি সময়। তবে এই প্রথম সাবেক ক্লাবের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন চিলিয়ান তারকা। এমন ম্যাচে ম্যাচে গোল পেলে কেমন অনুভুতি হবে? তিনি বলেনÑ ‘যদি গোল করতে পারি তাহলে আমার প্রতিক্রিয়াটা কেমন হবে তা আমি বলতে পারব না। এটা নির্ভর করছে ওই মুহূর্তের ওপর।’
তবে এই পর্বের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে জুভেন্টাসের তরিনোয়। সেখানে মুখোমুখি হবে ফাইনালিস্ট জুভেন্টাস ও বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। জুভাদের হয়ে লিগে সর্বোচ্চ ১৩ গোল করলেও এখনো ইউরোপ সেরার আসরে না লেখানো হয়নি দলের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার পাওলো দিবালার। আজই হয়তো সেই মহেন্দ্রক্ষণ আসতে পারে ২২ বছর বয়সী তরুণের সামনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।