মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মেক্সিকো থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ করারোপের পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। আর এই প্রাচীর নির্মাণের অর্থ জোগার করতেই এ ধরনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ওদিকে, সীমান্ত দেয়াল বানানো নিয়ে নতুন উত্তেজনার মুখে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আগামী সপ্তাহের নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো। গত বৃহস্পতিবার এক ট্যুইট বার্তায় পেনা নিয়েতো বলেন, আমরা হোয়াইট হাউজকে জানিয়ে দিয়েছি যে আমি আগামী মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসছি না।
এর আগে এদিনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ট্যুইটে বলেছিলেন, মেক্সিকো দেয়াল বানানোর খরচ দিতে না চাইলে বৈঠক বাতিল করা উচিত। তিনি বলেন, মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৬ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি আছে। মেক্সিকো অতি জরুরি সীমান্ত দেয়াল বানানোর খরচ দিতে না চাইলে আসন্ন বৈঠক বাতিল করাটাই ভাল হবে। তবে ট্রাম্পের এই ট্যুইট আসার আগে থেকেই প্রাচীর তৈরির প্রতিবাদে তার সঙ্গে বৈঠক বাতিলের জন্য দেশের ভেতরে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট পেনা নিয়েতোর ওপর চাপ বাড়ছিল। বৈঠক বাতিলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সিয়ান স্পাইসার বলেন, আমরা আগামীতে আরেকটি দিন নির্ধারণের চেষ্টা করব। যোগাযোগের পথটি আমরা খোলা রাখব। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে বিশাল ও দুর্গম প্রাচীর নির্মাণের নির্বাহী আদেশে বুধবার সই করেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দেয়াল নির্মাণের খরচ মেক্সিকোর কাছ থেকে নেওয়ার কথা ট্রাম্প বলে আসছেন। বুধবার এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও ট্রাম্প বলেছেন, মেক্সিকোকে অবশ্যইদেয়াল নির্মাণের শতভাগ খরচবহন করতে হবে। এর জবাবে পেনা নিয়েতো বলেন, আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি, কোনও দেয়ালের জন্য মেক্সিকো কোনও খরচ দেবে না। তবে গত বুধবার রাত পর্যন্তও ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করাকে জরুরি মনে করেননি তিনি। কিন্তু পরে দেয়ালের খরচ না দিলে ট্রাম্প বৈঠক বাতিলের যে কথা বলেছেন তাতে মেক্সিকোয় ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। ট্রাম্প ইচ্ছাকৃতভাবেই তার সঙ্গে মেক্সিকো সরকারের আলোচনায় বসার চেষ্টাকে আমলে নিচ্ছেন না বলেই মানছে মেক্সিকোর বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরাসহ স্যোশাল মিডিয়াও।
এরদিকে, হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব সেন স্পাইসার জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কংগ্রেসে রিপাবলিকান সমর্থকদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন। আর ভবিষ্যতে এটা একটি বড় অর্থনৈতিক প্রস্তাব হতে পারে। তবে এ প্রস্তাবে ভোক্তা, উৎপাদক এবং দুই দেশের সরকারের সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, মেক্সিকোর পণ্য আমদানির ওপর ২০ শতাংশ করারোপ করা হলে বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা যাবেÍযা মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের জন্য যথেষ্ট। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এ প্রাচীর নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হবে কমপক্ষে ৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার। স্পাইসার বলেন, ২০১৫ সালে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্র ২৯৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। তবে ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৬০টি দেশ থেকে আমদানি করা পণ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্র কর আদায় করে। বিবিসি, এবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।