গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাসির উদ্দিন ও অথরাইজ্ড অফিসার আ জ ম শফিউল হান্নানের নেতৃত্বে রাজধানীর গ্রিন রোডে (জোন-৫) উচ্ছেদ অভিযানে বিভিন্ন ভবনের কারপার্কিংয়ে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও মোট ৭.৫ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে গ্রিন রোডে অবস্থিত হোটেল ফার্মগেট অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে পার্কিং স্থলে হোটেল ও পানি শোধনাগার স্থাপনের জন্য ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ফার্মগেটের ছন্দ-আনন্দ হলের অপর দিকে পার্কিং স্পেস না থাকায় ক্যাপিটাল মার্কেটকে ২ লাখ এবং বড় বাজার মার্কেট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ট্রপিক্যাল হোমস্কে পার্কিং স্পেস না রাখার জন্য ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং এর নক্শাবহির্ভূত সিঁড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়া গ্রিন রোডের ৮৫নং হোল্ডিংয়ের পার্কিং স্থলে দোকান সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় দেয়া হয় ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং বাঞ্ছারামপুর ভবন নামক একটি মার্কেটকে পার্কিং না থাকায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। উচ্ছেদের সময় জোন-৫-এর পরিচালক জনাব শাহ্ আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
উত্তরার ৪ নং সেক্টরের ৪ নং রোডের বাড়ি নং ৪ এর ক্যালিফোর্নিয়া ফ্রাইড চিকেন ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরের রেস্টুরেন্ট ও একই রোডের ২ নং বাড়ির পিছনে কার পার্কিংয়ে নির্মিত আগোরার গোডাউন ভেঙে ফেলা হয়। ৬ নং রোডের বাড়ি নং ৯-এর পার্কিং স্থলে দোকান থাকায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় ও দোকান সরিয়ে নেয়ার জন্য ২ দিন সময় দেয়া হয়। ৭ নং রোডের বাড়ি নং ৭-এর ভবনের বেজমেন্টকে গোডাউন হিসেবে ব্যবহারের জন্য ডাচ্ বাংলা ব্যাংককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় ও গোডাউন সরিয়ে নেয়ার জন্য ২ দিন সময় দেয়া হয়। একই রোডের বাড়ি নং ৫৯/এ এর পার্কিং স্থলে গোডাউন ও জেনারেটর রাখার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ও গোডাউন ও জেনারেটর সরিয়ে নেয়ার জন্য ৭ দিন সময় দেয় এবং বাড়ি নং ৬১/এ এর পার্কিং স্থলের এটিএম বুথ সরিয়ে নেয়ার জন্য এক্সিম ব্যাংককে ২ দিন সময় দেয়। এছাড়া পার্কিং স্থলে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করার দায়ে ‘সী শেল’ রেস্টুরেন্টকে ১.৫ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও রেস্টুরেন্ট সরিয়ে নেয়ার জন্য ২ দিন সময় দেয়া হয়। নির্বাহী মেজিস্ট্রেট খেন্দকার জাকির হোসেন ও অথরাইজড্ অফিসার মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ পরিচালনা করা হয়। এছাড়া রাজউকের জোন-৪ এর অন্তর্ভূক্ত গুলশান-১ এ নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মোঃ হামিদ মিয়া ও অথরাইজড্ অফিসার মোঃ আদিলুজ্জামান এর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বিভিন্ন ভবনের মালিককে কার পার্কিংয়ের স্থানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের দায়ে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবনের সামনে ফুটপাতের উপর নির্মিত র্যাম্প অপসারণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।