নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে রোববার কাক্সিক্ষত একটা ফাইনালই হয়তো উপহার দিতে যাচ্ছে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। আগের দিন শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিলেন রেকর্ড ১৭ গ্র্যান্ডসø্যামের মালিক রজার ফেদেরার। গতকাল একই পর্ব নিশ্চিত করেছেন ১৪ বার গ্র্যান্ডসø্যামের মুকুট পরা রাফায়েল নাদাল। দুই সেনসেশনের মুখোমুখি হতে আর মাত্র একটি করে জয় বাকি। তাহলেই ফাইনালে দেখা হয়ে যাবে তাদের।
শেষ চারের পথে কানাডিয়ান তারকা মিলোস রনিককে ৬-৪ ৭-৬ (৯-৭) ৬-৪ গেমে হারান আসরের ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন নাদাল। চোটের সাথে যুদ্ধ করতে থাকা এই স্প্যানিয়ার্ড শেষ পর্যন্ত প্রায় ৩ বছর পর কোন গ্র্যান্ড সø্যামের সেমিফাইনালে উঠলেন। ৩০ বছর বয়সীর জন্য কাজটা অবশ্য সহজ ছিল না। বর্তমান র্যাংকিংয়ের তিন নম্বরে থাকা রনিক গত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালিস্ট। দ্বিতীয় সেটে চলে দু’জনার মধ্যে তুমুল লড়াই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাদালের সাথে পেরে ওঠেননি ২৬ বছর বয়সী এই তরুণ। শুক্রবার শেষ চারের লড়াইয়ে নাদালের প্রতিপক্ষ ১৫ নম্বর বাছাই গ্রিগর দিমিত্রভ। ২৫ বছর বয়সী এই বুলগেরিয়ান ৬-৩ ৬-২ ৬-৪ গেমে বেলজিয়ামের ডেভিড গফিনকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেন।
শিরোপা জিতলে উন্মুক্ত যুগে রয় এমারসন ও রড লেভারের পর নাদাল হবেন দুবার করে চারটি গ্র্যান্ড সø্যাম জেতা ইতিহাসের তৃতীয় কোন খেলোয়াড়। নাদাল বলেন, ‘গত দুই বছর যেন রোলারকোস্টারে ছিলাম আমি। তবে আজ যেটা ঘটেছে তাতে আমি খুশি।’
চমক আছে নারী এককেও। ২৩তম গ্র্যান্ড সø্যামের আরো কাছে পৌঁছে গেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। আসরের ছয় বারের চ্যাম্পিয়ন সেরেনা ব্রিটেনের এক নম্বর টেনিস তারকা জো কান্তাকে সরাসরি ৬-২ ৬-৩ সেটে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন। এই পর্বে তার প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়ার মিরজানা লুসিক-বারোনি। শেষ চারের পথে তিনি চেক রিপাবলিকের করোলিনা লিসকোভাকে হারান ৬-৪ ৩-৬ ৬-৪ গেমে।
আগের দিন শেষ চার নিশ্চিত করেন উইলিয়ামস বড় বোন সেরেনা। যতক্ষণে এই সংবাদ পড়ছেন ততক্ষণে হয়তো লেখা হয়ে গেছে সেমিফাইনালের তার ভাগ্যও। সবকিছু ঠিক থাকলে ফাইনালে দেখা হয়ে যেতে পারে দুই বোনের। সেক্ষেত্রে প্রতিশোধের একটা সুযোগ পাবেন বড় বোন ভেনাস। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে একবারই ফাইনালে উঠে সেবার যে ছোট বোনের কাছে হারতে হয়েছিল তাকে! সেটাও ১৪ বছর আগের (২০০৩ সালে) ঘটনা। ওটাই ছিল সেরোনার প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা। এবারো ৩৫ বছর বয়সী আমেরিকান যেভাবে ছুটছেন তাতে তাকে থামানোই যে কারো জন্যই চ্যলেঞ্জ। শেষ নয় ম্যাচে একটা সেটেও না হারা কোন্তাকে তিনি যেভাবে উড়িয়ে দিলেন তাতে হিসাবটা তেমনি মনে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।