Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদেশে সেঞ্চুরি চান মুমিনুল

| প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : দেশের মাটিতে টেস্ট রেকর্ডটা মুমিনুলের দারুণ। হোমে ১৪ টেস্টে ১২২০ রান, গড়টা তার ৫৮.০৯। টেস্ট ক্যারিয়ারে চার সেঞ্চুরির চারটিই তার হোমে। আছে ছয়টি ফিফটিও। বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৩৭২ রানের রেকর্ডটাও তার দেশের মাটিতেই।   তবে ২০১৩ সালে গল টেস্টে ফিফটি দিয়ে (৫৫) অভিষিক্ত হওয়া মুমিনুলের নেই বিদেশের মাটিতে ছয় টেস্টে কোনো সেঞ্চুরি। ছয় টেস্টে ৪১৭ রানে ফিফটি আছে পাঁচটি, গড়টা সেখানে ৩৭.৯০। টানা ফিফটিতে প্রোটিয়া টপ অর্ডার ভিলিয়ার্সকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ছুঁতে পরেননি টানা ১২টি ম্যাচে তার ফিফটিকে। থেমেছেন ক্যারিবিয়ান লিজেন্ডারি ভিভ রিচার্ডস, ভারতের গৌতম গম্ভীর ও শেভাগের ১১টি ফিফটিকে স্পর্শ করে। নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়েলিংটন টেস্টে ১৮৭ রানের ইনিংসে ৬৪ তে থেমে যাওয়া এই টপ অর্ডার পাঁজরের ব্যথায় খেলেননি ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট। দেশের মাটিতে সফল এই ব্যাটসম্যান এবার বিদেশের মাটিতে সেঞ্চুরির নেশায় উদগ্রীব। ফেব্রুয়ারিতে ভারত, মার্চে শ্রীলঙ্কা সফর আছে বলেই টেস্ট সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছেন এই লিটল মাস্টার। গতকাল সে ইচ্ছের কথাই জানিয়েছেন মুমিনুলÑ‘দেশের বাইরে টেস্ট সেঞ্চুরি নেই। নিউজিল্যান্ডে ইনিংসকে বড় করতে পারিনি। ভারতে টেস্ট আছে, তারপর শ্রীলঙ্কায় আছে। চেষ্টা করব এই সফর দুইটিতে সেঞ্চুরি করতে।’
নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি এবং সবুজ উইকেট থেকে ভারতে সম্পূর্ণ ভিন্ন কন্ডিশনে খেলতে হবে। উপমহাদেশের কন্ডিশনটা পরিচিত এবং অভ্যস্ত বলেই হায়দারাবাদ টেস্টের উইকেট নিয়ে দুর্ভাবনায় তাড়িত নন মুমিনুলÑ‘স্পিন ট্র্যাক হলে হবে। পেস হলেও সমস্যা নেই।  স্পিন, পেস দুই বৈশিষ্ট্যের উইকেটে খেলার প্রস্তুতি নিয়েই যাবো আমরা। হাতে সময়টা খুব বেশি নেই। অল্প সময়ের মধ্যে এখন নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। গিয়ে ওখানেও পারফর্ম করতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফরের অধিকাংশ সময় দিয়েছেন টিমমেটদের সঙ্গ। খেলেছেন মাত্র একটি টেস্ট। তবে ওই দুই কন্ডিশনে অনুশীলনে লাভ হয়েছে। ওয়েলিংটন টেস্টে খেলতে নেমেই করেছেন ফিফটি। সে জন্য কোচ হাতুরুসিংহেকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন মুমিনুলÑ ‘বোর্ড, টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ  হাতুরুসিংহেকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত। ট্যুর শুরু হওয়ার অনেকদিন আগে গিয়েছি। অনুশীলনের জন্য  পুরো একমাস সময় পেয়েছি। ওটাই আমার খুব কাজে লেগেছে। সে কারণেই স্বাভাবিক ব্যাটিং করাটা  আমার কাছে  সহজ মনে হয়েছে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের চার বছরে একটি সিরিজে বাংলাদেশ দলের এতো বড় বিপর্যয়  দেখেননি মুুমিনুল। তারপরও বিপর্যয়ে ভেঙে না পড়ে টিমমেটদের মধ্যে ঐক্য অটুট থাকতে দেখে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের হাতছানি পাচ্ছেন মুমিনুলÑ ‘রেজাল্ট না পেলেও আমার কাছে মনে হয়, এই সফরে অনেক ইতিবাচক দিক আছে।  অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করলে নিউজিল্যান্ড সফরে আমি যা শিখছি, তা অন্য কোথাও পারিনি। যা আমার পরবর্তী ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনেক বেশি কাজে দিবে। দল যখন খারাপ খেলে তখন সবার ঐক্য দেখতে ভালো থাকে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এই জিনিসটি দেখছি। আগে অনেক সময় দেখা যেত, খারাপ খেললে দল ছন্নছাড়া হয়ে যায়। এখন আর তা দেখছি না। বরং দেখেছি নিজেদের মধ্যে একতা বাড়ে।’
ঢাকায় এসে এমআরআই স্ক্যান করিয়েছেন। ভারত সফরের দল চূড়ান্ত হওয়ার আগে সবার মতো মুমিনুলকেও দিতে হবে ফিটনেস টেস্ট। সে দিকেই তাকিয়ে এখন মুমিনুলÑ ‘ব্যাথা এখন আগের চেয়ে কিছুটা কম। যাওয়ার আগে ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে। যদি পাস করি, ইনশাল্লাহ যাবো।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুমিনুল

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ