পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করাসহ যুদ্ধবিরতি পরিপূর্ণভাবে মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করবে ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ক। ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় কোন ধরনের উস্কানি প্রতিরোধ করার পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে কিনা তাও লক্ষ্য রাখবে তারা। এক যৌথ বিবৃতিতে তিন দেশ একথা জানিয়েছে। সিরিয়ায় প্রায় ছয় বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের একটি সমাধান বের করতে রাশিয়া ও ইরানের মধ্যস্থতায় গত সোমবার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় নতুন একটি শান্তি আলোচনা শুরু হয়। দুই দিনের ওই আলোচনার শেষ দিনে তেহরান, মস্কো ও আঙ্কারার পক্ষ থেকে বলা হয়, ৮ ফেব্রুয়ারি জেনেভায় পরবর্তী দফার আলোচনা শুরু হবে এবং সিরিয়ার স্বশস্ত্র বিদ্রোহী দলগুলো ওই আলোচনায় অংশ নেয়ার যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তারা আনন্দের সঙ্গে সেটিকে সমর্থন জানাচ্ছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা-২২৫৪ বাস্তবায়নের বিষয়েও স্বশস্ত্র বিদ্রোহীগুলো রাজি হয়েছে বলে জানান তারা। তবে সিরিয়ার বিরোধী দল বা সরকারি দল ওই প্রস্তাবনা সমর্থন করে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এর আগে জানা যায়, সিরিয়া ইস্যুতে কাজাখস্তানের রাজধানী আসতানায় আয়োজিত শান্তি আলোচনার প্রথম দিনটি কোন ধরনের সফলতা ছাড়াই শেষ হয়। আলোচনার ব্যাপারে গুরুত্বের ঘাটতি থাকার জন্য সিরিয়ার সরকার ও বিরোধী এ দুই পক্ষই একে অপরকে দায়ী করেছে। সিরিয়ার সরকারি প্রতিনিধি দলের প্রধান বাশার আল জাফারি বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিদের সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করেন। তার অভিযোগ, যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসতানার বৈঠককে হেয় ও বাতিল করার চেষ্টা করছে। আলোচনা সফল করার ক্ষেত্রে বিদ্রোহীদের দলটির মধ্যে আগ্রহের কমতি আছে বলেও অভিযোগ করেন জাফারি। গত সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের প্রতিনিধি দলটি দেশটির সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গত সোমবার বিরোধীদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া আল আরিদি আলজাজিরাকে বলেন, এ আলোচনাকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য যদি গুরুত্ব সহকারে কাজ করা হয় তবে সেখানে আনুষ্ঠানিকতার বিষয় খুব একটা জরুরি হয় না। আমরা অস্ত্রবিরতি নিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতির লক্ষণ দেখতে পাইনি। সবার আগে এ ব্যাপারে স্বচ্ছতা ও সমঝোতা থাকা উচিত। এখানে আসা এবং এখানে সব পক্ষকে একসঙ্গে পাওয়ার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে বিষয়টিকে রাশিয়া গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। কিন্তু আমরা ঘটনাস্থলে এর বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আর সেকারণে বিষয়গুলো আমাদের জন্য পুরোপুরি আশাবাদী হওয়ার মতো নয়।’
উল্লেখ্য, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে সিরিয়াজুড়ে অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে সম্মত হয় আসাদ সরকার ও সিরিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপগুলো। ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে সিরিয়াজুড়ে এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জেহাদি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস), আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জাবাথ ফাতেহ আল-শাম এবং কুর্দি ওয়াইপিজি বিদ্রোহীরা ছাড়া বাকি পক্ষগুলো এ অস্ত্রবিরতির অন্তর্ভুক্ত। সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে বিদ্রোহীরা। আলজাজিরা, বিবিসি ও রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।