বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে জিআরপি থানার সামনে রেলগাড়িতে চোরাপথে আসা ভারতীয় মালামালের পোটলা নিয়ে কালোবাজারীদের হুড়োহুড়ি। চোরাপথে আসা অবৈধভাবে ভারতীয় জিরাসহ অন্যান্য ভারতীয় পণ্যের ব্যবসা কোনো মতে বন্ধ করা যাচ্ছে না। সৈয়দপুরের মনোহারি পট্টির মসলাপট্টির বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে এসব জিরা। কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করতে পারছে না বলে চোরাকারবারীরা হয়েছে আরো বেপরোয়া। চোরাকারবারীদের দাপট এতটাই যে যাত্রীরা প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। দীর্ঘদিন থেকে এগুলো চলে আসলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোনো অভিযান। সরেজমিন দেখা গেলো সৈয়দপুর রেলস্টেশনে আগে থেকেই সারি সারি ভ্যান লাগানো। ট্রেন থামতেই চোরাকারবারীরা প্রকাশ্যে জিরা, শাড়ি, কসমেটিকসহ অন্যান্য ভারতীয় পণ্য লোড করছে ওইসব ভ্যানে আবার কেউ দল বেধে হেঁটে যাচ্ছে মসলাপট্টি মোকামে অথচ সামনেই জিআরপি থানা কার্যালয়। এ অবৈধ কারবারীদের মধ্যে হিজড়াদের দাপট থাকলেও এর সাথে শিশু, যুবক-যুবতীসহ বেশিরভাগ মহিলারা জড়িত। চোরাকারবারিরা হিলি সীমান্তে নেমে ওপার থেকে জিরা, মসলা, চিনি, কাপড়সহ নানা রকমের মাদকদ্রব্য নিয়ে আসে এবং পুরো ট্রেনে দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়।
সৈয়দপুর রেলপথে চলাচলকারি রূপসা-সীমান্ত, তিতুমীর, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, খুলনা মেইল ট্রেনগুলোকে নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে চোরাকারবারীরা। হিলি সীমান্তে উঠানো এসব জিরাসহ অন্যান্য অবৈধ ভারতীয় দ্রব্য প্রতিদিন সৈয়দপুর রেলস্টেশনে নেমে সোজা চলে যায় মসলাপট্টির বিভিন্ন মহাজনের কাছে। এভাবে প্রতিদিন দেশীয় বাজারে অবৈধ পণ্যের সমাহার যেমন বাড়ছে তেমনি রাষ্ট্র হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
সৈয়দপুর রেলওয়ে জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বর্তমানে ট্রেনে চোরাচালান প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। রেলওয়ে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর অব্যাহত অভিযান ও তদারকির ফলে চোরাচালানি কমে আসায় যাত্রীরা অনেকটা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।