Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘পিএস মাহসুদ’ মেরামত সম্পন্ন হলেও যাত্রী পরিবহনে ফিরেনি

| প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নাছিম উল আলম : দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিআইডবিøউটিসির ‘পিএস মাহসুদ’-এর মেরামত সম্পন্ন হলেও নৌযানটি কবে নাগাদ বাণিজ্যিক পরিচালনে ফিরবে তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে আগামী রোববার নৌযানটি প্রমোদ ভ্রমণের জন্য ভাড়া দেয়া হচ্ছে। অথচ এতদিন সংস্থার দায়িত্বশীল মহল থেকে পিএস মাহসুদ মেরামত সম্পন্ন করে তা ঢাকাÑবরিশাল খুলনা রুটে পরিচালনের কথা ছিল। সংস্থার কারিগরি ও মেরিন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা ব্যয় সাশ্রয়ী প্যাডেল জাহাজগুলোর পরিবর্তে ব্যয়বহুল মধুমতি ও বাঙালি নৌযান দুটি পরিচালনে আগ্রহী। এসব নৌযানের জ্বালানি ব্যয় প্যাডেল জাহাজগুলোর দ্বিগুণেরও বেশি।
গত জুলাই মাসে একটি বেসরকারী নৌযানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে সংস্থার এ প্যাডেল নৌযানটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনায় ৪ জন যাত্রী নিহত হওয়া ছাড়াও আরো অন্তত ২৫ যাত্রী আহত হয়। নৌযানটির ডান পাশের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এর ডান পাশের প্যাডেলসহ উপরি কাঠামোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী নৌযানটির মালিক-কর্তৃপক্ষ মাহসুদের পুরো মেরামত ব্যয় বহন করেছে বলে জানা গেছে। মেরামত সম্পন্ন করে রোববার ‘পরীক্ষামূলক পরিচালন’ সম্পন্ন করে ঐ রাতেই মাহসুদকে ঢাকা ঘাটে নিয়ে আসা হয়। তবে নৌযানটি ডকিং না করায় এর তলার বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ করা সম্ভব হয়নি। কর্তৃপক্ষের মতে, সংস্থার দুই নম্বর ডকইয়ার্ডের ¯øীপওয়ের বেসিনে নাব্যতা সংকটে পিএস মাহসুদকে ওপরে তোলা সম্ভব হয়নি।
সংস্থার দায়িত্বশীল মহলের মতে, পিএস মাহসুদকে যাত্রী পরিবহনে ফিরিয়ে আনার পরে ‘পিএস অস্ট্রিচ’কে ডকইয়ার্ডে পাঠান হবে। এ নৌযানটির তলা ও উপরি কাঠামোসহ এর প্যাডেলের মেরামত প্রয়াজন। কিন্তু সিøপওয়ের সমস্যার কারণে এ নৌযানটিও আগামী একমাসের মধ্যে ডকিং করা সম্ভব হবে কিনা তা বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।
এদিকে নানা অজুহাতে সংস্থার কারিগরি ও বাণিজ্য পরিদফতরের কতিপয় কর্মকর্তা প্যাডেল জাহাজগুলো বসিয়ে রেখে ব্যয়বহুল ‘এমভি মধুমতি ও এমভি বাঙালি’ নৌযান দুটি পরিচালনের মানসিকতায় গত প্রায় ৩ মাস ধরে অস্ট্রিচ জাহাজটিও বন্ধ রাখা হচ্ছে। অথচ সদ্য সংগৃহীত ‘এমভি মধুমতি ও এমভি বাঙালি’র পরিচালনায় গত আড়াই বছরে সংস্থাটির প্রায় ৮ কোটি টাকা লোকশান গুনতে হয়েছে। এরপরেও দ্বিগুণেরও বেশি পরিচালন ব্যয়ের এসব নৌযান চালিয়ে লোকসানের বোঝা ভারী করতে কতিপয় কর্মকর্তার অধিক আগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। প্যাডেল জাহাজগুলো বসিয়ে রেখে ‘স্বেতহস্তি’ বলে খ্যাত ব্যয়বহুল নৌযানগুলো পরিচালনের বিষয়টি ইতোমধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নজরেও এসেছে। বিষয়টি সম্পর্কে সংস্থার শীর্ষ পর্যায় থেকেও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। গত তিন মাসে পিএস অস্ট্রিচ জাহাজটি নানা অজুহাতে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। সংস্থার কতিপয় কর্মকর্তা যাত্রী পরিবহনের জন্য নৌযানটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে তা বসিয়ে রাখার নানা যুক্তি দাড় করছে। অথচ তা নৌবিহারের জন্য প্রতি সপ্তাহেই ভাড়া দেয়া হচ্ছে।
গতকালও ঢাকা থেকে এমভি মধুমতিকে চাঁদপুরÑবরিশালÑঝালকাঠীÑপিরোজপুর হয়ে মোড়েলগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ