চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
জাতীয় মুসল্লি পরিষদ
সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে তীব্র হুশিয়ারি ও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় মুসল্লি পরিষদ। গত ৬ জানুয়ারি জুমুয়া শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে এক মুসল্লি বিক্ষোভ সভা করে সংগঠনটি। বক্তারা বলেন, এ সমাবেশ সারা দেশের ১৪ কোটি মুসলমানের সংক্ষুব্ধ মনের বহিঃপ্রকাশ। একে আমলে না নিলে সরকার জনসমর্থন হারাবে। বক্তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে এই সমাবেশের মাধ্যমে জাতির ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বক্তারা বলেন, দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। মক্কা শরীফ বিজয়ের পর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র ক্বাবা শরীফে রক্ষিত ৩৬০টি মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। মুসলিম শরীফের হাদীছ শরীফে হুযুর পাক সাল্লাল্লাহ্ ুআলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি আবির্ভূত হয়েছি মূর্তি ধ্বংস করার জন্য। সুবহানাল্লাহ। বলাবাহুল্য দেশের প্রত্যেকটি মুসলমান কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ অনুযায়ী এ চেতনায় বিশ্বাসী। কিন্তু ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে দেশের মানুষের বিচার চাওয়ার সর্বোচ্চ স্থান সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন তারা মেনে নেবে না। জাতীয় মুসল্লি পরিষদের উদ্যোগে বাদ জুমাহ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর চত্বরে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। হাফেজ আব্দুস সাত্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু ওলামা পরিষদের নেতা মুফতী মাসুম বিল্লাহ। ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা এ আর হেলাল, প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামীক ফন্টের আহ্বায়ক শাহসুফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদিসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা বলেন, ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহল সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুযোগ করে দিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান দেশে অন্য ধর্মের মূর্তি তথা গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপনের ন্যক্কারজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। কারণ দ্বীন ইসলামে যেকোন ধরনের মূর্তি তৈরী করা সম্পূর্ণরূপে হারাম।
বক্তারা বলেন, সংবিধানে যেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম স্বীকৃত সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয় স্বকীয়তা প্রাধান্য না দিয়ে অন্য ধর্মীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের নীতিকে কলুষিত করার অপকৌশল। এর মাধ্যমে সরকার বিরোধী ঘাপটি মেরে থাকা মহল ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করার সুযোগ করে দিচ্ছে।
বক্তারা বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে মুসলমানদের কোন ধর্মীয় নিদর্শন সুপ্রিম কোর্টেও ভেতর স্থাপন করা উচিত ছিল। যাতে সরকারকে আরো জনপ্রিয় ও ধর্মপ্রাণদের সরকার হিসেবে তুলে ধরা যায়। কিন্তু তা না করে অপশক্তিটি মুক্তিযুদ্ধের সরকারকে বেকায়দায় ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র কর্েযছ। বক্তারা বলে, এ চক্রান্তের পেছনে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে ধর্ম অবমাননা আইনের আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড
বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মরহুম পীর সাহেব হুজুর এনজিওদের ইসলামবিরোধী শিক্ষার মোকাবেলা করতে সারাদেশে কুরআনের বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করার জন্য কুরআন শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, কওমী শিক্ষা ধারার স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে অবিলম্বে কওমী সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রদানের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করুন। তিনি বলেন, কওমী সনদের স্বীকৃতির দাবীতে এদেশের সকল ওলামায়ে কেরাম এখন এক বিন্দুতে ঐক্যবদ্ধ। স্বীকৃতি নিয়ে সরকার টালবাহানা ও নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে কঠিন আন্দোলন গড়ে উঠবে। তিনি আরো বলেন, অতীতের সরকারগুলো কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বহু তামাশা করেছে। অনেক ষড়যন্ত্র চক্রান্ত হয়েছে কিন্তু কারো ষড়যন্ত্র চক্রান্তই টিকে নাই। এদেশের কওমী মাদরাসাগুলো জনগণের সহযোগিতা নিয়ে টিকে আছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে।
রাজধানীর গুলিস্তান কাজী বশির মিলনায়তনে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে “কওমী মাদরাসার স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবীতে মাদরাসা প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রতিনিধি সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ আফ্রিকার এদারায়ে কওমীয়া বোর্ডের মহাসচিব শায়খ মুফতি জাকারিয়া, বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলামা আশরাফ আলী, বেফাকের মহাসচিব মুফতী আব্দুল কুদ্দুস, বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষাবিদ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম, বেফাক দ্বীনিয়ার মহাসচিব মুফতী মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রামের হাফেজ মাওলানা তৈয়্যব, নির্বাহী সভাপতি মুফতী সৈয়দ নুরুল করীম, মহাসচিব আলামা নূরুল হুদা ফয়েজী, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সদস্য সচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বোর্ডের সিনিয়র প্রশিক্ষক মাওলানা আব্দুস সাত্তার হামিদী, মাওলানা মিজানুর রহমান নোমানী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।