বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেনাপোল অফিস : বেনাপোল স্থল বন্দরে অবস্থিত একমাত্র ট্রেজারী ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ করেছে আমদানি রফতানি ব্যবসার সাথে জড়িত একাধিক ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান। সুত্র জানায়, আমদানি রফতানির শুল্ক চালানের টাকা জমা দিতে গেলে ব্যাংক ক্যাশ শাখায় প্রতি চালানে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষের টাকা না দিলে কর্তৃপক্ষ চালান জমা নেয় না। চালান প্রতি ১৫০ েেথকে ২০০ শত টাকা ঘুষ দিতে হয় প্রতিনিয়ত।
প্রতিদিন বেনাপোল স্থল বন্দরের আমদানি রফতানির পণ্যের রাজস্ব জমা দিতে প্রায় ২ শতাধিক চালান জমা হয় এই ব্যাংকে। আর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জোর পুর্বক অর্থ আদায় করছেন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। কেউ ঘুষ দিতে অস্বীকার করলে তাকে হয়রানির শিকার হতে হয় নানাভাবে। চালান জমা না নিয়ে তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা অভিযোগ ভুক্ত ভোগিদের। অপরদিকে সরকারি এই ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা আমদানি রফতানির রাজস্ব চালানের টাকা সহ অন্যান্য টাকা লেনদেন হয়। অত্যন্ত ঝুকি নিয়ে ব্যবসায়িরা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে থাকেন। ব্যাংকের দুর্বল সিসি ক্যামেরায় ভাল কোন কিছু বোঝা যায় না। তারপর পুর্নাঙ্গ অনলাইন ট্রানজেকশন সুবিধা না থাকায় ব্যবসায়িরা পড়ছে বিপাকে। বেনাপোল দিয়ে আমদানি রফতানি বানিজ্যের রাজস্ব জমা দিতে এ ব্যাংকের বড় ধরণের ভুমিকা রয়েছে। গ্রাহকদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অথচ ডিজিটাল সময়ে সরকার একটি গুরুত্ব পুর্ণ ব্যাংকের এ অবস্থায় হতাশায় ভুগছে গ্রাহকরা।
ঢাকার পাসপোর্ট যাত্রী রুখসানা, আমেনা, রুবেল, জুবায়ের জানান, আমরা ডিএম এর পন্য কাষ্টমস থেকে আনুষ্ঠানিক কাজ শেষে ব্যাংকে ট্র্যাক্সের টাকা জমা দিতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জোর করে প্রতিজনের নিকট থেকে ২০০ শত টাকা নিয়ে টাকা জমা নেয়। বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের সামনে কয়েকবার ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটেছে। বিগত সময়ে আমদানি পণ্যের রাজস্ব জমা দিতে গিয়ে ১০ লাখ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে সিএন্ড এফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনালের। আজো উদ্দার করা সম্ভব হয়নি ছিনতাইকৃত টাকা।
বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন সারাদেশে ১ হাজার ২ শত ৪টি সোনালী ব্যংকের শাখা আছে। সোনালি ব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং সর্বোচ্চ গ্রাহক সুবিধায় সোনালী ব্যাংক সুবিধা দিয়ে থাকে। ঘুষের ব্যাপারে ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা এখানে েেকান ঘুষ নেই না তবে আগে এখানে স্টাফ ছিল ৩০ জন। বর্তমানে ১৫ জন স্টাফ কাজ করছে। সকাল থেকে সারাদিন কাজ করায় আমদানি কারকদের প্রতিষ্ঠান কিছু নিজেরা সন্তুষ্টি হয়ে দিয়ে যায় স্টাফদের। আমি ও গুলো দেখি না। আপনাদের সরকার বেতন দেয় তবে কেন এ কাজ আপনারা করেন এরকম প্রশ্নে তিনি বিব্রত বোধ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।