পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বামীকে হত্যার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন স্ত্রী চন্দ্রবানু (৪০)। রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মধ্য বাড্ডার ৫৫৩ আদর্শনগর টিনশেড বাসা থেকে নিহত ফজল শেখের (৫০) লাশ উদ্ধার করে। ছোট স্ত্রীকে বেশি সময় দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বড় স্ত্রী চন্দ্রবানু স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে খুন করেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে স্বামীর ঘাতক দাবিদার চন্দ্রবানু একথা বলেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।
বাড্ডা থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, নিহত ফজল শেখ পেশায় একজন রিকশাচালক। তার তিন স্ত্রী। আদর্শনগরের ওই টিনশেড বাসায় তিন স্ত্রী ও সন্তানসহ বসবাস করতেন। তিন বিয়ের কারণে সতীনদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। এই অশান্তিতে প্রথম স্ত্রী চন্দ্রবানু তার স্বামীকে হত্যা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত শীল ও বঁটি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার পর চন্দ্রবানু নিজেই সকাল ৬টায় থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এদিকে চন্দ্রবানু বলেছেন, বুধবার রাতে তার স্বামী ফজল দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় ছিলেন। এ নিয়ে তার সাথে রাতভর ঝগড়া হয়। শেষে গতকাল ভোরে ফজল মিয়া ঘুমিয়ে পড়লে তিনি রান্নাঘর থেকে শীলপাটা এনে ফজল মিয়ার মাথায় আঘাত করেন। পরে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে পলিথিনে মুড়িয়ে থানায় চলে আসেন।
ফজল আলীর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বড়াই উলিতে। ওসি বলেন, স্বামীকে খুন করার অভিযোগে চন্দ্রবানুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া হত্যাকা-ের সঙ্গে অন্য কোনো বিষয় জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় চন্দ্রবানুকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।