Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

আলু-সরিষা ক্ষেত ও ইরি-বোরোর বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

আদমদীঘিতে জেঁকে বসেছে শীত

| প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : বগুরার আদমদীঘি, সান্তাহার ও এর আশপাশে জেঁকে বসেছে শীত। দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবসহ শীতজনিত রোগ। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। গত কয়েকদিন ধরে হাড় কাঁপানো শীতে শিশু-নারীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, অসময়ে বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা এবং গত কয়েকদিনের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় আদমদীঘি, সান্তাহার ও এর আশপাশে যেন জেঁকে বসেছে শীত । হাড় কাঁপানো তীব্র শীতে শিশু-নারী-পুরুষ ডায়রিয়ায় অক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত রোগীরা উপজেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানীয় ক্লিনিক ও চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া সর্দি-কাশিসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তীব্র শীতের সাথে ঘন কুয়াশার কারণে জনসাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছে দুর্ভোগে। চাকরীজীবী ও প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছে না কেউ। সন্ধ্যার সাথে সাথে শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরগুলো হয়ে পড়ছে জনজীবনশূন্য। শীতবস্ত্রের অভাবে  প্রচ- শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ। এছাড়ও কৃষি কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ইরি-বোরোর বীজতলা লালচে হয়ে মরে যাচ্ছে। অসময়ে বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে শীতকালীন সবজি ও ইরি-বোরো ধানের বীজতলার ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে আলু ও সরিষার ক্ষেত নিয়ে কৃষকরা বেশী চিন্তিত। আলুক্ষেতে লেটবাইট রোগে পচন ধরে মরে যাচ্ছে আলুর গাছ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবার আদমদীঘির ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, গ্যানোলা, লালপাড়ি, তেলপাকড়ি, ললিতা, হাগরাই, ফাটা পাকড়ি, সাদা পাকড়িসহ নানা জাতের আলুর চাষ করা হচ্ছে।  এভাবে একটানা বিরূপ আবহাওয়া থাকলে আলু সরিষার ফলন বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে স্থানীয় কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কামরুজ্জামান জানান, শৈত্যপ্রবাহ ও হঠাৎ একদিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে এ উপজেলায় প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে আলুর গাছে পচন ধরেছে। ফলে লেটবাইট রোগে আক্রান্ত গাছ মারা যাচ্ছে।  লেটবাইট বা পাতা পচন রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে কৃষকদের ওষুধ প্রয়োগ করার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ