পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে সাহস করেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের ‘বান্ধবী’ খ্যাত ও স্ত্রী দাবিদার সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা। গত ১৭ জানুয়ারী সন্ধ্যায় নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সাথে একান্ত আলাপকালে অতীত স্মৃতিচারণ করছিলেন নীলা।
নীলা বলেছেন, এক সময় নূর (নূর হোসেন) আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেক যন্ত্রণাই দিয়েছে। তবে সবাই যাকে ভয় পেত, সেই নূর হোসেনই আমাকে ভয় পেত। যতবারই তার অফিসে গিয়েছি টেবিলের ওপর থেকে লাইসেন্স করা পিস্তলটি সে ড্রয়ারে তালাবদ্ধ করে রাখত। আমার সামনে তা রাখত না। কারণ আমার ওপর করা অন্যায়ের কারণে সে মনে মনে ভীত ছিল। তবে আমিও তাকে ছাড়িনি। বাধ্য হয়ে আমিও তাকে অনেক অপমান করেছি।
এ সময় নীলা বলেন, সেভেন মার্ডারের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল তাদের সবারই যেন সর্বোচ্চ সাজা হয়। তা কামনা করেছি। কারণ সেভেন মার্ডারে শুধু সাতটি জীবনই নষ্ট হয়নি, নষ্ট হয়েছে সাতটি পরিবার। প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিজের পরিচয় থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল তাকে অপহরণ করতে চেয়েছিল কিছু দুর্বৃত্ত। তাদের প্রশাসনের লোক বলেই চিনতে পেরেছেন।
রাজনৈতিক নেতাদের বিষয়টি অবহিত করেছিলেন নীলা। আরো বললেন, নূর হোসেন আমার সঙ্গে কারও সখ্যই পছন্দ করত না। সিটি কর্পোরেশনের কোনো পুরুষ কাউন্সিলর আমার সঙ্গে হেসে কথা বললেও তার কাছে খবর চলে যেত। গত ১৬ জানুয়ারী ঘোষিত সাত খুন মামলার রায়ে নূর হোসেনের মৃত্যুদ- হওয়ায় নীলা এই রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।