পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ধারাবাহিক উত্থানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সাড়ে পাঁচ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। সেই সঙ্গে লেনদেন চলে এসেছে দুই হাজার কোটি টাকার ঘরে। গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫৫৭৫ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। আর লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৬৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বরের পর অর্থাৎ ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এসইতে প্রধান সূচক ৯৭, সিএসইতে বেড়েছে ১৭১ পয়েন্ট।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত কার্যদিবসের চেয়ে সূচক ও লেনদেন বেড়ে শেষ হয়েছে এ দিনের লেনদেন কার্যক্রম। উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ১৭৯ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৯৬১ কোটি ৯২ লাখ। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৬৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। গত সোমবার লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৮৫৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২০৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৭ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭৬ পয়েন্টে এবং ৩৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১৯৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২৪টির, কমেছে ৮৬টির এবং কোনো পরিবর্তন হয়নি ১৮টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এ ছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলোÑ বেক্সিমকো লিমিটেড, বারাকা পাওয়ার, যমুনা অয়েল, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, মবিল যমুনা, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, কেয়া কসমেটিকস, সামিট পাওয়ার, ইসলামী ব্যাংক এবং ডেসকো।
অন্যদিকে এদিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ১৭১ কোটি ০৬ লাখ টাকা। গত সোমবার লেনদেন হয়েছিল ১০৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং সিএসইতে গত কার্যদিবসের চেয়ে শেয়ার লেনেদেন বেড়েছে ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার বেশি।
সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১৭১ দশমিক ০৬ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ২৮৬ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ২৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৫০ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ২৮৪ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৭৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৬টির, কমেছে ৭৪টির এবং কোনো পরিবর্তন হয়নি ১৬টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, ন্যাশনাল ব্যাংক, কেয়া কসমেটিকস, অ্যাপোলো ইস্পাত, এক্সিম ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স এবং বিএসআরএম স্টিল।
এদিকে জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ের পর নিয়মিত সূচক পুনর্মূল্যায়নে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্সে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে আরও ৩১টি কোম্পানি। আগামী ২২ জানুয়ারি কোম্পানিগুলো ডিএসইএক্স সূচকে গণনা করা হবে। নতুন এই কোম্পানিগুলো হচ্ছে, ন্যাশনাল টি, কহিনূর কেমিক্যালস, মাইডস ফাইন্যান্স, স্টাইলক্রাফট, ইস্টার্ন ক্যাবল, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ড্রাগন সোয়েটার, সিমটেক্স, আইটি কনসালটেন্ট, ইয়াকিন পলিমার, লিবরা ইনফিউশন, ফাইন ফুডস, জেমিনি সি সুড, ইভান্স টেক্সটাইল, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্ট ও বিডি অটোকার। এছাড়াও বিমা খাতের রূপালী ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স, নর্দান জেনারেল, রিপাবলিক, মার্কেন্টাইল, ইস্টার্ন, ঢাকা, অগ্রণী, কর্ণফুলি, তাকাফুল ইসলামী, বাংলাদেশ ন্যাশনাল, প্রভাতী, প্রাইম এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ২২ জানুয়ারি থেকে এই সূচক থেকে বাদ পড়ছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিজ ফাইন্যান্স, পদ্মা ইসলামী লাইফ এবং রেকিট বেনকিজার কোম্পানি। সব মিলে ডিএসইএক্স সূচকে অন্তর্ভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৬৩টিতে।
ডিএসই সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর বা এসঅ্যান্ডপির নির্ধারিত মাপকাঠি বিবেচনায় সূচকের এ পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। আর এই পুনর্মূল্যায়নের তিনটি মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ কোম্পানিগুলোকে সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আর যেসব কোম্পানি মাপকাঠি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, সেগুলোকে বাদ দেয়া হচ্ছে। বছর শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি মাপকাঠি অনুযায়ী তিনটি বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে। প্রথমটি ছিল কোম্পানির লেনদেনযোগ্য (ফ্রি-ফ্লোট) বাজার মূলধন, বিগত ছয় মাসের গড় লেনদেন ও তিন মাসের লেনদেন দিবস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।