নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : চোট বারবার ভোগাচ্ছিল। আগের সেই ঝাঁজ হারিয়ে ফেলছিলেন। গত বছর প্রথম দুটি গ্র্যান্ড সø্যামের কোয়ার্টার ফাইনালে গেলেও শেষ দুটিতে বিদায় নিয়েছেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাউন্ডে। কিন্তু গত বছর সমাপক টুর্নামেন্ট ট্যুর ফাইনালসে দুর্দান্ত খেলে ফিরে আসার আভাস দিচ্ছিলেন। বছরের প্রথম গ্যান্ড সø্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনকেই দেখা হচ্ছিল নাদালের গ্র্যান্ড সø্যাম শিরোপার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফিরে আসার টুর্নামেন্ট হিসেবে। এটি হতে পারত গত বছর চারটি গ্র্যান্ড সø্যামেই হতাশা মুছে ফেলার টুর্নামেন্টও। হলো না। মেলবোর্ন পার্কের রড লেভার অ্যারেনায় স্বদেশি ফার্নান্দো ভার্দাস্কোর কাছে গতকাল প্রথম রাউন্ডেই হেরে বিদায় নিলেন এই আসরের ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন। ৪ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের ম্যারাথন ম্যাচের পর ভার্দাস্কো জিতলেন ৭-৬ (৮-৬), ৪-৬, ৩-৬, ৭-৬ (৪-৭), ৬-২ গেমে। নাদাল প্রথম রাউন্ডে বাদ! এ বিরাট বিস্ময়ের। ঘোর কাটার আগেই রেকর্ড নয় বারের ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন নাদাল ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষ ও আম্পায়ারের সঙ্গে হাত মিলিয়েই দ্রুত কোর্ট ছেড়ে চলে যান। পুরো ক্যারিয়ারে এর আগে একবারই টুর্নামেন্টের শুরুতেই বাদ পড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল ২০ বার গ্র্যান্ড সø্যাম ফাইনাল খেলা নাদালের। ২০১৩ সালের উইম্বলডনে।
অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল, কত সহজেই না ম্যাচটা জিততে যাচ্ছেন নাদাল। প্রথম তিন সেটের মধ্যে দুটিই জিতেছিলেন। চতুর্থ সেটেও একটা সময় এগিয়ে ছিলেন ৫-২ গেমে। আর একটা গেম জিতলেই পরের রাউন্ড। কিন্তু সেখান থেকেই হার্ড-হিটিং টেনিসের দুর্দান্ত প্রদর্শনী দেখিয়ে ম্যাচটা জিতে নিলেন ভার্দাস্কো। পুরো ম্যাচে মোট ৯০টি উইনার মেরেছেন এই ৪৫ নম্বর বাছাই, যেখানে নাদাল মেরেছেন মাত্র ৩৭টি!
ভার্দাস্কোর কথাই বুঝিয়ে দিচ্ছিল, কতটুকু শক্তি শুষে নিয়েছে এই ‘স্প্যানিশ বুল ফাইট’। ম্যাচ শেষে যখন ধারাভাষ্যকারের সামনে দাঁড়ালেন, তখন হাতে ছিল একটি কলা। সেটি খেতে খেতেই বললেন, ‘প্লিজ আমি খেয়ে নিই। না হলে মারা যাব।’ সবাই যখন তাঁর এই কথা শুনে হাসছিলেন, তখন শোনালেন জয়ের গল্প। অবিশ্বাস চোখে মুখে নিয়েই এই ৩২ বছর বয়সী বললেন, ‘পঞ্চম সেটটায় আমি অবিশ্বাস্য খেলেছি। জানি না কীভাবে কী করেছি। শুধু চোখ বন্ধ করেছি, আর সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেল।’
একই দিন আরও এক বড় তারকার পতন হয়েছে। মেয়েদের এককে হেরে গেছেন সাতটি গ্র্যান্ড সø্যাম চ্যাম্পিয়ন এবং আসরের অষ্টম বাছাই ভেনাস উইলিয়ামসও। সাবেক এক নম্বর তারকাকে ৬-৪, ৬-২ গেমে হারিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের জোহানা কোনটা। তবে নাদালের বিদায় যেন শোকসংবাদ হয়ে এসেছে তাঁর ভক্তদের কাছে।
বেশ ঝোড়ো গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। নামের পাশে ১৪টি গ্র্যান্ড সø্যাম লিখিয়েও ফেললেন, এক সময় যেটিই ছিল বিশ্ব রেকর্ড। পিট সাম্প্রাসের যে রেকর্ডটিকে ১৭-তে নিয়ে গেছেন রজার ফেদেরার। ফেদেরারের ফুরিয়ে আসা রাফায়েল নাদালকে হয়তো আশাবাদী করছিল সেই শীর্ষ শিখর ছোঁয়ার; কিন্তু উল্টো নাদালই যে এখন ফুরিয়ে যেতে বসেছেন! ২০১৬-এর শুরুটা যেভাবে হলো, তাতে আবারও এই প্রশ্ন উঠে গেল, নাদাল কি তবে শেষ? ‘১৪’ সংখ্যাটি কি আর কখনোই ‘১৫’ হবে না!
তবে পুরুষ এককে সহজ জয়ে প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরুলেন অ্যান্ডি মারে। বিশ্বের দু’নম্বর টেনিস তারকা সরাসরি ৬-১, ৬-২, ৬-৩ সেটে হারিয়েছেন অষ্টাদশী আলেকজান্ডার জেভারেভকে। মেয়েদের এককেও সহজ জয় পেয়েছেন ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা। বেলজিয়ামের ভন উৎভানাককে কোন পয়েন্ট না দিয়েই ৬-০, ৬-০ সেটে হারিয়েছেন বেলারুশ কন্যা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।