পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর উত্তরা ও কলাবাগান এলাকা থেকে নব্য জেএমবির ১০ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে করেছে র্যাব। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের সবাই নব্য জেএমবির তামিম আহমেদ চৌধুরী গ্রুপের সদস্য বলে র্যাব দাবি করেছে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা ও কলাবাগান এলাকা থেকে এসব জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য।
গতকাল বিকাল ৫টার দিকে কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে র্যাবের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশন) কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান বলেন, গ্রেফতারকৃত নব্য জেএমবির ১০ সদস্য হলো- আবু সাদাত মো. সুলতান আল রাজি ওরফে লিটন (৪১), আল মিজানুর রশিদ (৪১), জান্নাতুল মহাল ওরফে জিন্নাহ (৬০), মো. জিয়াউর রহমান (৩১), মো. কৌশিক আদনান সুবহান (৩৭), মিজানুর রহমান (৪৩), মেরাজ আলী (৩০), মুফতি আবদুর রহমান বিন আতাউল্লাহ (৩৭), শাহরিয়ার ওয়াজেদ খান (৩৬), শরিফুল ইসলাম (৪৬)।
র্যাব বলছে, লাইফ স্কুল নামের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আড়ালে আসলে জঙ্গি দলের জন্য সদস্য সংগ্রহ করা হচ্ছিল।
গ্রেফতার ১০ জনের মধ্যে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের লাইফ স্কুলের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম (৪৬), তার ভাগ্নে ও স্কুলের সাবেক পরিচালক জিয়াউর রহামন (৩১), বর্তমান অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান (৪৩), আবু সাদাত মো. সুলতান আল রাজি ওরফে লিটন (৪১), আল মিজানুর রশিদ (৪১), জান্নাতুল মহল ওরফে জিন্নাহ (৬০), মো. কৌশিক আদনান সোবহান (৩৭), মেরাজ আলী (৩০), মুফতি আবদুর রহমান বিন আতাউল্লাহ (৩৭) ও মো. শাহরিয়ার ওয়াজেদ খান (৩৬)।
গতকাল বিকালে কারওয়ানবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার লতিফ খান বলেন, যাদের জঙ্গি মতবাদে আকৃষ্ট করা যাবে বলে মনে হত, কেবল তাদের সন্তানকেই লাইফ স্কুলে ভর্তি করা হত। স্কুলের সঙ্গে আগে একটি নামাজের ঘর ছিল, পরে মসজিদে পরিণত করা হয়। সেখানেই অভিভাবকদের মোটিভেট করা হত। তবে এই দশজন কোনো জঙ্গি হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত নয় বলেই মনে করছেন এই র্যাব কর্মকর্তা।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত লাইফ স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক। স্কুলের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তারা প্লে গ্রুপ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করে। তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় কেমব্রিজ ও ইসলামিক কারিকুলাম অনুযায়ী।
গ্রেফতার শরিফুলের স্ত্রী সোনিয়া জানান, গত বছর জুলাই মাসে তার স্বামী, জিয়াউরসহ চারজন লাইফ স্কুল ছেড়ে দিয়ে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরে ‘নলেজ হোম’ নামে একই ধরনের আরেকটি স্কুল চালু করেন। আমি নিজেও মাঝেমধ্যে সেখানে বাংলা ক্লাস নিতাম। পার্টনারশিপ নিয়ে সমস্যার কারণে শরীফুল লাইফ স্কুল ছেড়ে দেয়। তার ৪২ মাসের বেতন বকেয়া আছে।
সোনিয়া বলেন, সোমবার ভোর ৫টার দিকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে তাদের বাসা থেকে কয়েকজন লোক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে শরীফুলকে ‘তুলে নিয়ে যায়’। পরে তিনি জানতে পারেন, ৯ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে জিয়াউরকেও একইভাবে ‘তুলে নেওয়া’ হয়েছে।
গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসা খবরে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি পুলিশের অভিযানে নিহত নব্য জেএমবির দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল ইসলাম ও তানভীর কাদেরীর লাইফ স্কুলে যাতায়াত ছিল। ওই স্কুলের সাবেক দুই শিক্ষক ফয়সাল হক ও মাঈনুল ইসলাম এখন নব্য জেএমবির হাল ধরেছেন বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী; এ কারণে তাদের খোঁজে অনুসন্ধান চলছে বলে সংবাদমাধ্যমের তথ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।