Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আহা কি আনন্দ

প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মি জা ন মা হ মু দ
শাপ শাপান্ত গোষ্ঠীতুষ্টি চৌদ্দ পুরুষের গত দায় দেনাভার
চাইলেই তো ঘাড় থেকে নামানো যায় না অনাদি সংস্কার

উলট-পালট করে লুটেপুটে খাওয়ার মচ্ছব লেগেছে যেন
ওসব দেখতে নেই চোখ তুললে বেশুমার বিপদ-আপদ দ্বন্দ্ব

ভীষণ বেড়েছে দৌরাত্ম্য দুষ্ট দুর্বৃত্তের নিত্য উদ্বাহু নগ্ননৃত্য
চিত্তে আগুন জ্বালায় ঘৃণায় গা রিরি বমির উদ্রেক প্রায়শ

মোটেই আদিখ্যেতা অবিমৃষ্যকারিতা কিংবা মাৎস্যন্যায় নয়
নিরেট বাস্তবতা দুঃশাসনদের সন্দর্শন সর্বত্র বিকট অধিষ্ঠান

জল বিন্দু
সৈ য় দ মা হ মু দ হা সা ন মু কু ট

আমি বসে আছিÑ কারও অপেক্ষায়
সময় কিনবা ঋতুর রিপু অথবা ব্যথায়
কাজ অথবা পশু সন্ধিক্ষণে হৃদয় এর ভেতর
কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুলে মুক্তিযুদ্ধের ঘ্রাণে
প্রাণের সই এক বিছানায় সবুজ পল্লবে রক্তে রাঙ্গাফুল
নরপশুর শিশুর উপর রাতক্রিয়া
হায়না পাকিস্তানী তুমি, আমি আর নির্মল জল বিন্দু
নিটল হয়ে কচু পাতায় ঝড়া এক বিন্দু অশ্রুজল রাঙ্গানো সূর্যের
সারথী হয়ে তুমি আমি মুক্তিকামী স্বাধীন বাংলাদেশ।

রূপ-রূপান্তর
আ বু হে না আ ব দু ল আ উ য়া ল

কবিতাটি রূপান্তর হতে হতে অকবিতা হয়ে গেছে,
মেয়েটিও রূপান্তর হতে হতে অমেয়ে এখন।
কেউ কেউ ভুল বুঝে চয়ে যায়,
পরে ভুলে বুঝতে পেরে ফিরে আসে মøান মুখে।
কিছু লোক ডানে-বামে-মধ্যখানে আসন বদল করে।
সাগরের ঢেউয়ের মতো জীবনের
ঘটনাও অগণন, কোনো কোনো ঘটনা স্মৃতির
ক্যামেরায় কী সুন্দর আসে! বোঝা যায় বেশ।
এ জীবনের দেখেছি অনেক- দেখেছি সুনামি এসে
কী রকম ল-ভ- করে গেছে মন-উপকূল।
আইলার লোনাজলে এখনো আকণ্ঠ ডুবে আছি।

অতিরেক
মা হ মু দ কা মা ল

মিঠুনের মিষ্টি খেতে ভালো লাগে খুব
কিন্তু তার সীমা কতটুকু?
পিটুন ঝাল খেতে খুব পছন্দ করে
কিন্তু, কতটুকু করে?
শিশুটি চকোলেট, কিশোরী তেঁতুল
কতটুক? কতটুকু? কত...........।
রণি খুব আইসক্রিম...
কফির বদলে চা জনির আসক্তি
এই যে পছন্দের তালিকা, যার যার
এই সমসাময়িকে যুক্তিহীন আপ্তবাক্য
অতিরেক সকল ক্ষেত্রেই।

রক্তাক্ত মিছিল
গো লা ম আ শ রাফ উজ্জ্বল

সেদিন পলাশ বনে ফোটেনি ফুল
শিমুল পাঁপড়িতে ছেয়ে গিয়েছিল
বাংলার জমিন, লাল গালিচাসম।
শকুন ঠোঁকরে বিষাদাচ্ছন্ন কোকিল
রক্তাক্ত মিছিল গন্তব্য স্বাধীনতা
ভাষায় দাবি হল স্বাধীনতা...।


মোড়ল
শা শ্ব ত হা সা ন

ছোট শিশু রাত বোঝে না, দিন বুঝে সে চোখ বুজে
ভিড়ের মাঝে ডাকাত থাকে যায় না তাদের চেনা
মানুষগুলোর রক্ত শোষে, বিশ্বজুড়ে অনেক রূপে তারা।
রাত যে ভীষণ ভয় ভুতুড়ে ভয় যে দেখায় কালো লোকো
হাতের প্রদীপ দেয় নিভিয়ে ফুঁ মেরে
হয় সে কেবল আলোর পরে অন্ধকার।
ছোট্ট শিশু চায় সে শুধু ভোর আনার
লাল সূর্যটাকে জানার। কালোর পরের আলো।
আসবে যে দিন ঈশান কোণে ঝড়
ওই শিশু ভাঙ্গবে কালোর খাড়
মোড়ল তুমি সেদিন কেমন পাবে পার?
ফুটবে যে ফুল বিশ্বজুড়ে রক্তলাল।

বোধ
জা হা ঙ্গী র ফি রো জ

বেদনার মর্মে তুমি বসে আছো
আনন্দের মর্মেও তুমি বসে আছো
আনন্দ-বেদনা
আমার চোখের জলে প্রবাহিত হয় প্রতিদিন
আমি স্বপ্নের মাঝে বসবাস করেছি একাকী
আমাকে ভেতর থেকে জাগালো বেদনা
আমাকে ভেতর থেকে জাগালো প্রজ্ঞা
আমাকে প্রশ্ন করে আমার জিজ্ঞাসা
প্রশ্নাতীত অনুভূতি আমার চোখের জল
প্রশান্তির অতলে ডুবেছে
তবু বোধ বোধীকে খুঁজেছে প্রতিদিন
প্রতি সেজদায় বোধী তোমাকে চেয়েছি
আমার চোখের জল তোমাকে কি স্পর্শ করে না?
আমার চোখের জলে যে-টুকু প্রশান্তি
সেই পথটুকু পার হয়ে যাই প্রতিদিন
ভবনদী গহন গম্ভীর
এখানেই নিজেকে খুঁজি
আমার ভেতরে খুঁজি সারাক্ষণ।


জাগো
কা জী র কি বু ল ই স লা ম

একুশে ফেব্রুয়ারি বলি
ভোরের প্রভাত ফেরীতে চলি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
৯ই ফাল্গুন হলে ক্ষতি কি?
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান থাকবে অমলিন
২৬শে মার্চ না বলে বলি ১২ই চৈত্র
স্বাধীনতা তুমি উজ্জ্বল নক্ষত্র
১৬ ডিসেম্বর না হয়ে ২ পৌষ হলে ক্ষতি কি?
জাগো বাঙালি জাগো
বাংলায় বলে হই বাঙালি
পহেলা বৈশাখে রাষ্ট্রীয় ছুটি সাথে একটি স্বপ্ন হবে বিলি
নয় ফাল্গুন, বারো চৈত্র, দুই পৌষ বঙ্গাব্দ হলে
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা হবে অকৃত্রিম
কথা আর বাস্তবতায় থাকবে না গরমিল।
অসঙ্গতিকে দিই জলাঞ্জলি

ছেঁড়া
হা বী বু ল্লা হ সি রা জী

এ কেমন ছেঁড়া, নাভি ছেঁড়া, নাভিমূলে টান দেয়াÑ
বাঁশপাতায় কেটে গেলে কাঁচা ঘুম
একটানা কাদা, ছয়শ’ কোটি হয়ে কলস উপচিয়ে পড়া,
আহা, কিরকম ধোয়ামোছা আকাশ দেখো না;
ছেঁড়াখোঁড়া যাই হোক- তবু প্রাণ
মানব সন্তান এক, আরেক জনক!

কাঁধে-কাঁধে যায়, কে কোথায়?
যে ঘ্রাণ সবার নাকে সে তার পায় না কিছুইÑ
যে কাঠে সম্পূর্ণ শয়ন, শাদা এমন যে বসন
মাটি বা আগুন খায় : তীক্ষœ চষ্ণু, তীব্র বিষ, কীট বা ধাতু শোষে;
এ কেমন ছেঁড়া ছিন্ন করা বুক, মস্তিষ্ক খুলে ফেলা,
পিতা হলে জয়ী আর ভূমির ভাগীদার!

পাতা ছেঁড়া : শব্দ ছিঁড়ে অন্য কোনো জোড় দেয়া
ভুল ছিঁড়ে, সত্য ছিঁড়ে, আলো ও সময় ছিঁড়ে
কালো-শাদা ভেদ ছিঁড়ে অনু থেকে পরমাণু হ’লে
অনন্তের স্থিতি হয় ছেঁড়ার উপমা!

কে ও, কি ছেঁড়ে? Ñ কৃশকায় এক শূন্য ছেঁড়া
নিদ্রা কী জাগরণে, ভেদে ও সন্তাপে
গণনার সিংহভাগ অর্থময় করা মানে
লৌকিক ভাসান...

পূবালিনামা/১৬
ফা হি ম ফি রো জ

গেলাম না... গেলাম না আমি

থেকে গেলাম এক রোখা
কবিতার ভেতর অথচ
লম্বা আঁধারের লেজ ধরে
মা-মেয়েরা আমার
কোথায় হারিয়ে গেলো

গেছে, আছে যেখানেই
সেখানে তো
কুহু কুহু ডাক আছে
ভয়ানক প্রভূত...

শূন্য আসমান মম!
৪/৫/২০১৫

 

জব্বইজ্জার বলী খেলা পানি ভেতর
মু হ ম্ম দ নূ রু ল হু দা

মাইনসে কইলো, ‘আইবো তুয়ান’
বাজান চিক্কর দিলো, ‘আইয়ক, আইয়ক’।
পেড়ন ভিতর যার হামিষা তুয়ান
দইজ্জার মউজের লগে বাঁধা তার জান;
আইজ তয় হাঁচা হাঁচা ‘আইয়ক তুয়ান’
কলিজা বাইরে বাঁধি মাঝ-দরিয়াত
হেই রাইতেও সোনাদিয়া আছিলো বাজান
লগে তার জোয়ান্কী, হিম্মত সাম্পান;
বাজানর সিনা খানও গইরর নাহার।
যখন বাইড়লো পানি, বাজান কইলো,
দরিয়া রে, তর বুক চিরি চিরি
চালিশ বছর ধরি আঁর দানাপানি,
তর খাই তর তর লই বাইজ্জে এই শরীর আঁর
আইজ্জা তই হাঁচা হাঁচা ডালী লবি তার?
কেনরে থামতেছে না খেলাঘর গড়া মোর
বাজান চিক্কর দিল দরিয়া গজ্জন।
জব্বইজ্জার বলী খেলা শুরু অইলো পানি ভিতর
এক বলী বাজান আঁর, অইন্ন বলী বঙ্গুয় সাইগর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আহা কি আনন্দ

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
আরও পড়ুন