Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছুটি মেলেনি সাফজয়ী স্বপ্না, নার্গিস, কৃষ্ণাদের

| প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ভারত জয় করার মতই ঘটনা। এর আগে এমন সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের রানার্সআপ ট্রফি জিতেছে তারা। শিলিগুড়িতে ফাইনালে স্বাগতিক ভারতের কাছে হেরে গেলেও টুর্নামেন্টে সাবিনা বাহিনী ছিলো দুর্দান্ত। আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল- অসাধারণ খেলে দেশের কোটি ফুটবলপ্রেমীর মনে জায়গা করে নিয়েছেন সাবিনা, স্বপ্না, নার্গিস, কৃষ্ণারা। সফল এক টুর্নামেন্ট শেষে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে এসেছে লাল সবুজের মেয়েরা। কিন্তু সাফে সাফল্য পেয়ে দেশে ফিরলেও একদিনের জন্যও ছুটি পাননি তারা। সাবিনা বাহিনীর বেশীরভাগ খেলোয়াড় অনুর্ধ্ব-১৬ দলের হওয়ায় শিলিগুড়ি থেকে ফিরেই ফের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন তারা। কারণ চলতি মাসের শেষ দিকে জাপান যাবেন মারিয়া, সানজিদা, কৃষ্ণারা। সেখানে ২৮ জানুয়ারি জাপান অনূর্ধ্ব-১৬ দলের বিপক্ষে তিনটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। ম্যাচ তিনটিকে সামনে রেখে কিশোরী দলের বর্তমান ক্যাম্প হলেও এটা আরও দীর্ঘমেয়াদী হবে। সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ওই টুর্নামেন্টে অংশ নিতেই এই দীর্ঘমেয়াদী আবাসিক অনুশীলন ক্যাম্পে থাকবেন তারা। এ প্রসঙ্গে জাতীয় ও অনুর্ধ্ব-১৬ মহিলা দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘সাফে খেলার পর দেশে ফিরে কাউকেই আমরা ছুটি দেইনি। কারণ জাপানে প্রীতি ম্যাচ ও থাইল্যান্ডে এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করার মিশন রয়েছে আমাদের। তাই সবাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে।’
সাফের ফাইনাল সম্পর্কে ছোটন বলেন,‘ভারতের সঙ্গে সমান তালেই খেলেছে আমার মেয়েরা। কিন্তু এক পেনাল্টিই মনোবল ভেঙ্গে দিয়েছে সাবিনাদের। আর তাতেই হার মেনে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে যেভাবে খেলেছে ফাইনালেও সেভাবেই খেলেছিল সাবিনা-স্বপ্নারা। কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি।’ সাফ মহিলা ফুটবলে আগের তিন আসরে খেললেও সেমিফাইনাল গন্ডি টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এবারের বাংলাদেশ দলটি একের পর এক ঝলকে প্রথমবারের মতো সাফের ফাইনালে ওঠেছিল। কিন্তু আরাধ্য চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা আর ধরা দেয়নি তাদের হাতে। নতুন ও পুরনোদের সমন্বয়ে অসাধারণ একটি দলে পরিণত হয়েছিল সাবিনা বাহিনী। শিরোপা জিততে না পারলেও অনেক অর্জন ছিল তাদের। প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হ্যাটট্রিকসহ পাঁচ গোল করার কৃতিত্ব, প্রথমবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে খেলা, সেমিতে স্বপ্নার হ্যাটট্রিকে মালদ্বীপকে বিধ্বস্ত করে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলা, ফাইনালের আগে একটিও গোল হজম না করা এবং সর্বশেষ রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরা। এতো সব অর্জন করে দেশে ফিরলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) থেকে কোন পুরস্কারের ঘোষনা আসেনি সাবিনাদের জন্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছুটি

৯ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ