রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টি এম কামাল, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে : এক সময় যেখানে শুধুই বালুর চর ছিল কিংবা বছরে এক দুটা আবাদ করা হতো। সেখানে এখন দিগন্তজুড়ে সবুজের সমারোহ। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলে বর্তমানে ব্যাপকভাবে মাসকলাই চাষ হচ্ছে। ফলে চরাঞ্চলে পাল্টে যাচ্ছে চাষাবাদের চিত্র। মাসকলাই চাষে সার ও পানির অল্প খরচ হয়। আর মাসকলাই চাষের পর বোরো আবাদের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদের চিত্র পাল্টে ফেলেছেন। এ সময়ে চরাঞ্চলে জমি হয়তো পতিত থাকত কিংবা কেউ কেউ স্বল্প পরিসরে আমন ধান চাষ করতেন। কিন্তু এখন সবাই ঝুঁকছেন মাসকলাই চাষে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে প্রায় ৯৬০ হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষ করা হয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে প্রায় এক হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ৫ মণ করে মাসকলাই পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। বাজার ভালো থাকলে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকা হারে প্রতি মণ বিক্রি করা যাবে। মাজনাবাড়ী গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান, চরচিন্না গ্রামের দুদু ও মল্লিকাপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুস সাত্তার বলেন, ‘বন্যার পর আমরা কলাইয়ের আবাদ করছি। আশা করি ফলন ভালা হইব। এরপর বোরো আবাদ করবাম। বোরোর আবাদও ভালা হইবো।’ কৃষক জবান আলী বলেন, ‘আমি এ বছর চার বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষ করছি। অল্প খরচে এবং অল্প সময়ে আমরা ভালা ফলন পাইয়া থাকি। বাজারে মাসকলাইয়ের চাহিদাও বেশি।’ কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সরকারের কৃষিবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আমরা কাজিপুরে এ বছর মাসকলাই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে ১০ হাজার ৫৬০ জন কৃষককে প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বারি মাস-৩ এর বীজ ও রাসায়নিক সার সরবরাহ করেছি। এ ছাড়া কৃষক নিজেরাও উদ্বুদ্ধ হয়ে মাসকলাই চাষ করেছেন। ফলন ভালো এবং দামও ভালো পাওয়ায় কাজিপুরে ব্যাপকভাবে মাসকলাইয়ের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।