পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ভুল গাড়িতে ভারতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া শিশু ইয়ামিনকে মায়ের কোলে তুলে দিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ৪ মাস পর বুকের ধনকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিশুটির মা।
কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানার মতলবপুর গ্রামের মরহুম আবদুল কাদেরের ১২ বছরের শিশু সন্তান মোহাম্মদ ইয়ামিন। ৬ বছর আগে বাড়ি ছেড়ে সে ঢাকায় চলে যায়। ঢাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয় ইয়ামিন। গৃহকর্তার নির্যাতনে শিশুটির ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়। খবর পেয়ে তার মা তাকে ঢাকা থেকে এনে চোখের চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলেন।
গত ৪ মাস আগে শিশুটি ভুলক্রমে গাড়ি ও ট্রেনে চড়ে ভারতের বেনাপোল সীমান্ত পার হয়ে যায়। সেখান থেকে সে ভারতের দিল্লীতে চলে যায়। ভারতের বাটারফ্লাই নামক একটি এনজিও’র তত্ত্বাবধানে শিশুটি আশ্রয় পায়। একপর্যায়ে বাটারফ্লাই কর্তৃপক্ষ শিশুটির বড়বোন কাকলীর মোবাইলে যোগাযোগ করে ইয়ামিন তাদের কাছে আছে বলে জানায়। এরপর শুরু হয় শিশুটিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। কিন্তু শিশুটির মায়ের ভারত থেকে তাকে আনার ক্ষমতা না থাকায় তিনি শিশু অধিকার বাস্তবায়নকারী সংস্থা অপরাজেয় বাংলাদেশের সাহায্য নেন।
অপরাজেয় বাংলাদেশ পরিচালিত আইআরসিসিএলটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম কর্মীদের মাধ্যমে সরেজমিনে শিশুর পরিবার পরিদর্শন করে। শিশুটির মা ও বোন ইয়ামিনকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত করে। গত ৩ জানুয়ারী বাটারফ্লাই এনজিও অপরাজেয় বাংলাদেশ শিশু অধিকার বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিকট শিশুটিকে প্রেরণ করে।
গতকাল নগর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশু ইয়ামিনকে তার মা শামসুন নাহারের কাছে হস্তান্তর করেন মেয়র। এসময় সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন হতদরিদ্র শিশুটির মাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।