পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি করলে কোনো নিষ্কৃতি মিলবে না। আমরা ঘরে-বাইবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবো। ২০১৬ সালে ধারণা এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কিছু কার্যক্রম আমরা গ্রহণ করেছি। এ বছর কর্মকর্তাদের নৈতিক স্খলনজনিত যে কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আমরা কে কোথায় কি করি তা সবাই জানেন। দেশের একটি মানুষকেও হয়রানি করার অধিকার দুদকের নেই। আমরা একটি মানুষকেও হয়রানি হতে দিব না। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা এবং ২০১৭ সালের সময়াবদ্ধ কর্মধারা চূড়ান্তকরণের জন্য দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক, পরিচালক ও উপপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কর্মশালা। ইকবাল মাহমুদ বলেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যদি কৌশলগত লক্ষ্য না থাকে তাহলে কোনো কাজই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা অবশ্যই সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, বাস্তবায়নযোগ্য, প্রাসঙ্গিক, সময়াবদ্ধ হতে হবেÑ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল তাহলেই তা কার্যকরী কর্মকৌশল হিসেবে সর্বজনগ্রাহ্য হবে। তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে সব তথ্যই এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। তাই কমিশন যদি দুদকের কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির দালিলিক প্রমাণসহ অভিযোগ পায় তাহলে বিধিমত ব্যবস্থাসহ, ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ বলেন, দুদকের মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত উন্নয়ন। দুর্নীতির উৎস-শনাক্তকরণ করে পদ্ধতিগত উন্নয়নের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশন ভূমিকা রাখবে।
অপর কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, কমিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতার আওতায় এনেই কেবল অন্যদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা সহজ হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন দুদক সচিব আবু মোঃ মোস্তফা কামাল। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মহাপরিচালক ড. মো: শামসুল আরেফিন, মো: আসাদুজ্জমান, ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া, মো: আতিকুর রহমান খান, মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী প্রমুখ। কর্মশালায় মহাপরিচালক, পরিচালক ও উপ-পরিচালক পদমর্যাদায় প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।