বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাঙ্গলকোট উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মা এবং ছেলের উপর হাসপাতালে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটনাটি ঘটেছে। হামলায় মা নূরজাহান বেগম (৫৫) এবং ছেলে মাঈন উদ্দিন (৩২) গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিক থানায় খবর দিলে পুলিশ হাসপাতালে আসার পূর্বে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট পৌরসভার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মৃত নজিম উদ্দিনের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে নুরজাহান বেগম তার ভাই মৃত আমির হোসেনের নিকট ৪শতক সম্পত্তি বিক্রির উদ্দেশ্যে আমির হোসেন ৪০ হাজার টাকা বায়না প্রদান করেন। আমির হোসেনের ছেলেরা দীর্ঘদিন সম্পত্তির অবশিষ্ট টাকা প্রদান না করে জাল দলিল সম্পাদন করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন। এনিয়ে নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র আবদুল মালেকসহ গ্রাম্য মাতাব্বররা আমির হোসেনের ছেলেদের সম্পত্তির অবশিষ্ট ৫৫ হাজার টাকা প্রদান করে দলিল সম্পাদনের রায় প্রদান করেন। কিন্তু আমির হোসেনের ছেলেরা সম্পত্তির অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ না করে উক্ত সম্পত্তিতে গত ৮/১০দিন পূর্বে জোরপূর্বক ঘর উঠায়। এব্যাপারে নূরজাহানের ছেলে মাঈন উদ্দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পুলিশ আমির হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিনকে সম্পত্তিতে ঘর না উঠাতে নিষেধ করে।
গত সোমবার দুপুরে আমির হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিন আবারো সম্পত্তিতে ঘর উঠানোর চেষ্টা করে। এসময় নুরজাহান বেগম বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে আমির হোসেনের স্ত্রী কমলা বেগম, ছেলে আলাউদ্দিন, ছেলে জাহাঙ্গীরের বউ ময়না বেগম নূরজাহান বেগমকে বেদম মারধর করে আহত করেন। এসময় আহত নুরজাহানকে তার ছেলে মাঈন উদ্দিন থানায় নিয়ে গিলে পুলিশ নূরজাহানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে নির্দেশ প্রদান করেন। মাঈন উদ্দিন তার মা নূরজাহানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সোমবার রাতে আমির হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিন, ছেলে জাহাঙ্গীরের বউ ময়না বেগম, মেয়ে রেনু বেগম, রেনু বেগমের স্বামী জাহাঙ্গীর, আলাউদ্দিনের মামা আবুল হাশেম, মামাতো ভাই মিন্টু ও হাছান সহ ১০/১২জন সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে নুরজাহান বেগম এবং ছেলে মাঈন উদ্দিনের বুকে, পিঠে, মুখে এবং মাথায় এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে-মারতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসান ইবনে আমিনসহ নার্স এবং কর্মচারীরা সন্ত্রাসীদের বাধা প্রদান করেন এবং সাথে-সাথে থানা পুলিশকে খবর দেন। এসময় সন্ত্রাসীরা মাঈন উদ্দিনের সাথে থাকা ২০হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে মাঈন উদ্দিন অভিযোগ করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসান ইবনে আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। বর্তমানে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।