Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে

প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:১৪ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন এ অঞ্চলে আমেরিকার প্রভাব আরো জোরদার করার চেষ্টা করছেন, সে সময়ে দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বিতর্কিত দ্বীপে চীনের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন চীন, তার প্রতিবেশী দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিকেই তুলে ধরেছে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা ক্যালিফোর্নিয়াতে এক শীর্ষ বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০ নেতাকে জড়ো করার এক দিন পর এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, পেন্টাগনের কাছে প্রমাণ আছে যে, একটি দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি মোতায়েন করা হয়েছে, যেটি চীন, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের দাবিকৃত একটি দ্বীপগুচ্ছের অংশ। শীর্ষ বৈঠকে ওবামা চীনের প্রতি হুঁশিয়ারি পাঠিয়ে ঘোষণা করেন, আন্তর্জাতিক সীমানায় যুক্তরাষ্ট্র বিমান ও জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখবে। সেইসাথে অন্য যারা তা করবে তাদের প্রতিও সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে পুনরায় দ্বীপগুলোর ভূমি পুনরুদ্ধার ও সামরিকীকণ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি নেতাদের সাথে আলোচনা করেছেন।
ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো ও চীন বিশেষজ্ঞ কেনেথ জি. লিবারথাল বলেন, চীন যা করছে তা উদ্বেগজনক, কারণ তারা অবশ্যই আগের চেয়ে তাদের নজরদারি ও স্থায়ী উপস্থিতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।
বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ এবং বহু রিফ ও ক্ষুদ্র দ্বীপের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্র সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে চীনের সাথে কোনো যুদ্ধ জড়াতে চায় না।
তারপর কথা হচ্ছে, অধিকাংশ এশীয় দেশই চীনের বিরুদ্ধে কতটা বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেয়া হবে সে ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি। চীনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সমুদ্রবেষ্টিত দুটি দেশ ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকা স্থলবেষ্টিত দেশ কম্বোডিয়া ও লাওসের মতো দেশগুলো তাদের প্রতিবেশীকে উস্কানি দিতে অনিচ্ছুক।
ক্যালিফোর্নিয়া শীর্ষ বৈঠকের শেষে প্রকাশিত যৌথ ইশতেহারে এ বিভক্তির বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। এতে নৌ চলাচলের স¦াধীনতা ও বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির আহ্বান জানানো হলেও চীন বা দক্ষিণ চীন সাগরের সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি।
একজন জ্যেষ্ঠ প্রশাসন কর্মকর্তা বলেন, চীন ওই দ্বীপে যে সুনির্দিষ্ট অস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে, তা সে তার প্রতিবেশীদের প্রতি যে সংকেত পাঠিয়েছে তার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ।
শীর্ষ বৈঠকের পরপরই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা প্রকাশ করা সত্ত্বেও চীনের পদক্ষেপ একটি কাকতালীয় ঘটনা হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারিগুলোর কথা জানালেও উডি দ্বীপ নামে পরিচিত ওই দ্বীপটিতে কতগুলো ব্যাটারি মোতায়েন করা হয়েছে বা কতদিন ধরে সেগুলো সেখানে আছে, সে বিষয়ে বিশদ কিছু বলেননি। তবে অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, সেগুলো কার্যক্ষম বলে মনে হয়। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে বলে, দ্বীপটিতে বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি। তবে তারা বলেছে, বহু বছর ধরেই প্যারাসেল দ্বীপগুচ্ছে চীনা নৌ ও বিমান বাহিনীর সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, প্যারাসেল দ্বীপগুচ্ছ সব সময়ই চীনা ভূখ-ের অংশ। দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় নিজ ভূখ-ের অভ্যন্তরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের বৈধ ও আইনসঙ্গত অধিকার রয়েছে। মন্ত্রণালয় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের খবরকে কতিপয় পশ্চিমা মিডিয়ার প্রতারণা বলে বাতিল করেছে।
এ অঞ্চলের অন্যত্র উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র এ উপদ্বীপে অ্যান্টিব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আলোচনা করছে। চীন সরকার টার্মিনাল হাই অলটিচ্যুড এরিয়া ডিফেন্স ব্যবস্থা বা থাড ব্যবস্থা নামে পরিচিত এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বলেছে, এটা তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
প্যারাসেল দ্বীপগুচ্ছে চীনে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের খবর দেয় ফক্স বার্তা সংস্থা। তারা জানায়, ইমেজস্যাট ইন্টান্যাশনালের ছবি থেকে দেখা যায়, ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো এক সময় ওই দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারিগুলো মোতায়েন করা হয়েছে। ভার্জিনিয়ার আরলিংটনস্থ জর্জ সি. মারশাল ইনস্টিটিউট পরিচালিত মিসাইল থ্রেট নামক ওয়েবসাইট অনুযায়ী এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২০০ কিলোমিটার বা ১২৫ মাইল এবং তা বিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম।
লিবারথাল বলেন, এমন নয় যে চীন বিমান ভূপাতিত করতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। এটা হবে পরিস্থিতি পরিবর্তনকারী। প্রশ্ন হচ্ছে যে, আমরা কি এমন একটি পরিস্থিতি দেখতে যাচ্ছি যেখানে তারা নৌ চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষায় পরিচালিত জাহাজে রাডারের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র তাক করবে?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের প্রধান এডমিরাল হ্যারি বি. হ্যারিস জুনিয়র বুধবার বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তা হবে দক্ষিণ চীন সাগরকে সামরিকীকরণ না করার বিষয়ে গত সেপ্টেম্বরে হোয়াইট হাউসে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অঙ্গীকারের বিরোধী।
তবে প্রেসিডেন্ট শি ওয়াশিংটনে তার বক্তৃতায় চীন সামরিকীকরণে ইচ্ছুক নয় বললেও সুনির্দিষ্টভাবে পৃথক ক্ষুদ্র দ্বীপ ও রিফ-সম্বলিত স্প্রাটলির কথা উল্লেখ করেন, প্যারাসেল দ্বীপগুচ্ছের কথা নয়।
চীনে বিদেশ নীতি নিয়ে গবেষণাকারী নানজিং বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঝু ফেং বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপমালার মধ্যে চীন একটি পার্থক্য সৃষ্টি করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, স্প্রাটলি দ্বীপগুচ্ছের চেয়ে প্যারাসেল দ্বীপগুচ্ছ চীনের মূল ভূখ-ের অনেক কাছে। তা চীন থেকে দক্ষিণ দিকে ২৫০ মাইল দূরে অবস্থিত এবং চীনের দ্বীপ নির্মাণ উদ্যোগের প্রধান মনোযোগ সেদিকেই।
চীনে ইয়ংজিং নামে পরিচিত উডি দ্বীপে একটি সামরিক বিমানক্ষেত্র রয়েছে, যা ক্ষুদ্র দ্বীপটির উভয় দিকের প্রান্তে এবং সামরিক বিমানগুলো সেটি ব্যবহার করে। এখানে চীনের একটি সামরিক গ্যারিসন এবং একটি বেসামরিক সরকারি ভবনও আছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিস্থ লোয়ী ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক ইউয়ান গ্রাহাম বলেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র চীনের সমুদ্রসীমা দাবিকে চ্যালেঞ্জ করে এ এলাকায় বিমান পাঠানোর আগে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য দেশকে একটু ভাবাবে। সূত্র নিউইয়র্ক টাইমস।   

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ : বিশ্বে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া ও চীন

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য বেইজিং ও মস্কোকে অভিযুক্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, দেশ দুটোর সমরসজ্জা বিশ্বকে অনিরাপদ করে তুলেছে। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিমতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগই ঐকমত্য পোষণ করে।
ওয়াশিংটনে বৃহস্পতিবার এক প্রেসবিফ্রিংয়ে পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষে মুখপাত্র কিরবি বলেন, ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে মার্কিন সামরিক সম্প্রসারণ ও দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক উপস্থিতি মিত্রদের অনুরোধেই হচ্ছে। রাশিয়া ও চীনের হুমকি বিবেচনায় এটা করা হতে পারে এই ধারণা তিনি নাকচ করে দেন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের মিত্র ও অংশীদাররা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে স্বস্তিকর হিসেবে দেখছে এবং সে অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে তিনি পুনঃনিশ্চিত করেন।
সম্ভাব্য হুমকির বিবেচনা থেকে ইউরোপের পূর্বাঞ্চল অভিমুখী ন্যাটোর পদক্ষেপ ও দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন রণতরী প্রেরণ করা হচ্ছে কিনা প্রশ্ন করা হলে জবাবে কিরবি একথা বলেন।
কয়েক বছর ধরেই রাশিয়া তার পূর্ব সীমান্তের কাছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোট সম্প্রসারণের অভিযোগ করে আসছে। তৎকালীন সোভিয়েট প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ একবার বলেছিলেন যে, পূর্ব অভিমুখী এক ইঞ্চি এলাকায়ও ন্যাটো সামরিক জোট সম্প্রসারণ করা হবে না বলে একটি প্রতিশ্রæতি ছিল। তবে এই অঙ্গীকার কখনোই দালিলিক রূপ নেয়নি। বাস্তবে ন্যাটোর সম্প্রসারণ ঘটছে নাটকীয়ভাবে। ১৯৯০-তে যেখানে ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ছিল ১৬ সেখানে এখন ২৮।
রাশিয়ার মতো চীনও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অসন্তুষ্ট। বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক পদক্ষেপকে চীন উস্কানিমূলক বলে বিবেচনা করে। গত জানুয়ারিতে মার্কিন নৌবাহিনী দক্ষিণ চীন সাগরে প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের ট্রিটন দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত একটি ডেস্ট্রয়ার প্রেরণ করে। চীনসহ সে অঞ্চলের দেশগুলো সেই দ্বীপপুঞ্জের ওপর নিজের সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে।
‘চীনের প্রেক্ষিত থেকে অবশ্যই আপনি এটা উপলব্ধি করতে পারেন যে এটা সামরিকীকরণ এবং এই পদক্ষেপ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে’ সংবাদ সংস্থা এপির সংবাদদাতা ম্যাট লি’র এই অভিমতকে চ্যালেঞ্জ করেন কিরবি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ম্যাট লি চীনা সরকারের পক্ষেই কথা বলছেন। তিনি বলেন, মার্কিন এই পদক্ষেপ সমরসজ্জা নয়। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে অঞ্চলে তার মিত্রদেরকে দেয়া প্রতিশ্রæতিই কেবল রক্ষা করছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিটি বিমানের উড্ডয়ন ও নৌবাহিনীর জাহাজ চলাচলকে তারা কীভাবে দেখছে আমি এটা বিশেষভাবে নির্দিষ্ট করতে চাই না। তবে আপনার নিজস্ব ব্যাখ্যা গ্রহণ করাতে চান এটাই আপনি বলছেন বলে মন্তব্য করেন কিরবি।
কিরবি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনার যথেষ্ট উপাদান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, এই অভিমত কেবল ওয়াশিংটনের একার নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ সদস্যেরও অভিমত তা-ই। উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে এবং আমরা সেখানে সামরিকীরণের অনেক কিছুই দেখতে পাচ্ছি।
তবে চায়না ন্যাশনাল অ্যঅসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডির পরিচালক ভিক্টর গাও মনে করেন, দক্ষিণ চীন সাগরে ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো আঞ্চলিক মিত্রদের যুক্তরাষ্ট্র হয়তো সন্তুুষ্ট করতে পারবে, তবে ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ চীনা জনমতকে আরো বেশি মার্কিনবিরোধী করে তুলতে পারে।
ভিক্টর গাও আরো বলেন, চীন সেখানে কী করছে? চীন তার সার্বভৌমত্বের আওতায় থেকেই সেখানে সাগর থেকে ভ‚মি উদ্ধার করছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করতে চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র যত চাপ সৃষ্টি করবে চীনের দিক থেকে ততই পাল্টা প্রতিক্রিয়া ঘটবে এবং চীনা সরকার ও চীনা জনগণের দিক থেকে এই প্রতিক্রিয়া অবশ্যই ইতিবাচক হবে না। কারণ তারা ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবেই বিবেচনা করতে পারে।
ওয়াশিংটনে প্রেস ব্রিফিংয়ে মি. কিরবির বক্তব্যের প্রতি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ম্যাট লি বলেন, বেইজিং যে এলাকাকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিবেচনা করে সেখানে যুদ্ধজাহাজ ও জঙ্গি বিমান পাঠানোর ওয়াশিংটনের যুক্তি কতটুকু ধোপে টেকে। তিনি বলেন, এটা ঠিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি সেখানে যুদ্ধজাহাজ ও জঙ্গি বিমান পাঠালে উত্তেজনা কিছুতেই কমবে না, বরং এটা উত্তেজনা আরো বাড়িয়েই তুলবে।
মস্কো যেমন তার টি-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে তেমনি রাশিয়া ও চীন তাদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে চাইবে এই ধারণা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র কিরবি সরাসরি আবারো বেইজিং ও মস্কোকে অভিযুক্ত করে বলেন, তাদের সামরিকীকরণের এসব বৈশিষ্ট্য কিছুতেই উত্তেজনা কমাবে না।
সূত্র : রয়টার্স, নিউজ রিপাবলিক।



 

Show all comments
  • keshour ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ৭:৪৫ এএম says : 0
    I thing China
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ