পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719787818](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে স্থায়ী সমাধান দাবি করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনের পরই নানা রকম অভিযোগ ওঠে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জেএসডি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আ স ম রব বলেন, নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রধান হলেও আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এ ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকাই প্রধান। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে বলেছেন আমি বিতর্কিত নির্বাচন চাই না।
তিনি বলেন, এখানে সরকার না চাইলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করা দুরূহ। এ ক্ষেত্রে সরকার নিরপেক্ষ হলেই কমিশন যথাযথভাবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারে। দলীয় সরকারের অধীনে যে নিরপেক্ষ নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন ভূমিকা পালন সম্ভব নয় তা আবারও প্রমাণিত হলো।
প্রস্তাব তুলে ধরে রব বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ গঠন করে নির্বাচনের স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিন। উচ্চকক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় (নির্বাচিত) সরকার এবং ঐ সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করবেÑ নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় হওয়ায় সবার নিকট হবে গ্রহণযোগ্য।
আ স ম রবের দেয়া প্রস্তাবগুলো মধ্যে রয়েছে : নির্বাচন কমিশন হবে পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ (সচিবালয়সহ), কমিশনের সচিবালয় হবে নির্দলীয় এবং রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত, নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে।
রব বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানÑ এটা শুধু জাতীয় ইস্যু নয়, আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন উঠছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের অভাবে সরকার যে নৈতিক সঙ্কটগ্রস্ত এবং গণবিচ্ছিন্ন তা সরকার যত দ্রুত উপলব্ধি করতে পারবে ততই মঙ্গল।
তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না, এ সত্য আবিষ্কার করেছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য তীব্র আন্দোলন এবং দলের অধীনে নির্বাচন কী তামাশার জন্ম দেয় তাও তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন। শেখ হাসিনার সত্য পরিবর্তন হতে পারে না। তিনি দলীয় প্রভাবহীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন জাতি আশা করে।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে রব বলেন, সংবিধানে বলা আছে প্রেসিডেন্ট একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন। কিন্তু সে আইন প্রণয়ন না করে সার্চ কমিটি গঠনের কথা বলে প্রেসিডেন্টকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হবে জাতির জন্য লজ্জাজনক। যে কেউ উচ্চ আদালতে আপিল করলে বিষয়টি স্থগিত হয়ে যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেএসডি নেতা এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, সিরাজ মিয়া প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।