পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা মেরুদণ্ড বাঁকা করি না, নতজানু করি না, আমরা মেরুদণ্ড শক্ত রাখার চেষ্টা করবো। কামিয়াব কতটুকু হবো, সেটা আল্লাহপাক জানেন। সংলাপ শেষে আপনাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে সরকার এবং সবার কাছে পৌঁছে দেবো। নির্বাচন ভবনে গতকাল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সময় পাল্টে গেছে, এটাই বোধহয় বাস্তবতা। তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির দায়িত্ব নিতে হবে। রাজনীতি থেকে গণতন্ত্রের বিস্তৃত হয়েছে। গণতন্ত্র নির্বাচনের জন্ম দিয়েছে। নির্বাচন পদ্ধতির জন্ম দিয়েছে। তাই আমি মনে করি, যারা দেশের রাজনৈতিক নেতা, আপনাদের যে দায়িত্ব, আপনাদের প্রতি আমাদের যে আস্থা, সম্মান এবং ভরসা, সেটা আমরা অক্ষুণ্ন রাখতে চাই। আপনারা নেতৃত্ব দিয়ে যে পরিবেশ সৃষ্টি করবেন, আমরা সামান্য নির্বাচন কমিশনার, আমাদের সেই সীমিত দায়িত্বটা ওই অর্থে সততা, নিষ্ঠা, সাহসিকতার সঙ্গে, যদি আপনাদের দোয়া, সহায়তা ও সমর্থন থাকে, আমরা চেষ্টা করবো।’
সিইসি বলেন, নির্বাচনকালে সংবিধান, আইন ও বিধি বিধানের আলোকে ক্ষমতা প্রয়োগ করবো আপনাদের সহায়তা নিয়ে। সরকারও সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস করি। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের সময় সাহসিকতার সঙ্গে তার যে সক্ষমতা এবং শক্তি, সেটা প্রদর্শন করতে হবে বলে আপনারা বলেছেন। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা সেই চেষ্টাটা অবশ্যই করবো। সেক্ষেত্রে আপনাদের সহায়তা, সমর্থন লাগবে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। তখন আমাদের কাজ কমে যায়, আপনারা আপনারাই কিন্তু ভারসাম্য সৃষ্টি করেন। আমার এ আবেদন থাকবে।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। ইভিএমের হ্যাকিংটা কোনোভাবেই সম্ভব না। কারণ এটার সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ নেই। এটা নিয়ে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু বাইরে অনেক কথা চাউর আছে যে হ্যাকিং হতে পারে, এটাতে ভোট কারচুপি হতে পারে। কিন্তু আমরা এ পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ পাইনি। এখনো ইভিএম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, যাতে অপপ্রয়োগ সম্ভব না হয়। সেটা নিশ্চিত করেই আমরা ইভিএমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
সিইসি বলেন, আমরা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এটা অর্জন করতে হলে সকলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এজন্য সব দলের সক্রিয় সহায়তা চাই। কারণ, নির্বাচনের মাঠকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সব পার্টিকে থাকতে হবে।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারণ করেছ ইসি। সংলাপের ৯ম দিন গতকাল ৩টি দলের সঙ্গে ইসি সংলাপ করেছে। দলগুলো হলো, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জাকের পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। এর আগে ২৫ জুলাই বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) অংশ নেয়নি। ২৬ জুলাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংলাপে অংশ নেয়নি। এর আগে বিএনপি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ এবং কল্যাণ পার্টি ইসির ডাকা সংলাপ বর্জন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।