Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিস্থিতি জানান দিচ্ছে লেনদেন সীমা ১০ লাখ টাকা জরুরি

| প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গত কয়েকমাস ধরে শুধু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন হচ্ছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। এর সাথে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনেও গতি ফিরতে শুরু করেছে। বাজারের এমন ইতিবাচক পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা অনেকটা আগ্রহের সাথে বিনিয়োগ করছেন। কিন্তু একজন বিনিয়োগকারীর এককালীন নগদ লেনদেনে যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা বাজার স্থিতিশীলতাকে কিছুটা ব্যহত করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় এ সীমা বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জোর দিয়ে পুঁজিবাজারে এককালীন নগদ লেনদেন ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে চিঠি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)।
স¤প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে পাঠানো চিঠিতে এ আবেদন জানায় সংগঠনটি। চিঠিতে স্টক ব্রোকারদের গ্রাহক হিসাবে নগদ লেনদেনের সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের বিপরীতে আয়কর সনদপত্র সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ ও ডিলারদের কাছে পাঠানোরও দাবি জানানো হয়েছে।
জানা যায়, কয়েক বছর আগে জঙ্গিবাদে অর্থ সহায়তা এবং মানি লন্ডারিং ঠেকাতে এক সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি পুঁজিবাজারে নগদ লেনদেনের সীমা ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবার সার্কুলারের মাধ্যমে দু’দফায় ব্যাংকের লেনদেন সীমা বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকায় উন্নীত করে। কিন্তু সে সার্কুলারে পুঁজিবাজারকে আওতাভুক্ত করেনি।
পুঁজিবাজারে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ টাকার বেশি লেনদেন করা যায় না। কিন্তু বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে এ পরিধি বাড়ানো প্রয়োজন মনে করেন স্টেক হোল্ডাররা। এ প্রেক্ষিতেই ডিবিএ লেনদেন সীমা বাড়ানোর জন্য বিএসইসিকে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে ডিবিএ বলেছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে ব্যক্তিগত হিসাব থেকে একসঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ লেনদেন করতে পারেন, যা ১৯৮৭ সালের আইন (১৯৯৯ সালের গেজেট) অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে দেশের অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের আকার অনেক বড় হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য স¤প্রসারণে বাংলাদেশ ব্যাংকও গ্রাহক হিসাবে নগদ লেনদেনের সীমা এরই মধ্যে দুই দফায় বাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রথমে তা সাত লাখ ও পরে ১০ লাখ টাকায় উন্নীত করেছে। পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও বড় আকারের লেনদেনের কথা বিবেচনা করে এটি ১০ লাখে উন্নীত করা দরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবিএ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, কয়েক বছর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ পাচার রোধে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত হিসাব থেকে এককালীন নগদ লেনদেন সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে তা ১০ লাখে উন্নীত করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারকে এ নিয়মের আওতাভুক্ত করেনি। এজন্য আমরা এ সীমা ১০ লাখ টাকা করার কথা বলেছি।
এদিকে লভ্যাংশের বিপরীতে কর সনদের বিষয়ে ডিবিএ জানিয়েছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে প্রাপ্ত নগদ লভ্যাংশের বিপরীতে প্রত্যেক গ্রাহককে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) ট্যাক্স সার্টিফিকেট দিতে হয়। একজন বিনিয়োগকারী বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করায় প্রত্যেক কোম্পানিতে গিয়ে এ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য। গ্রাহকদের হিসাবের বিপরীতে কোম্পানিগুলো ব্রোকারেজ হাউজে এ সনদপত্র পৌঁছে দিলে বিষয়টি সব পক্ষের জন্য সহজতর হয়। ফলে গ্রাহকদের হয়রানি কমে যাবে।
প্রসঙ্গত, অর্থ পাচার রোধে ব্যক্তি হিসাবের বিপরীতে নগদ লেনদেনের সীমা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এর ৮ নম্বর ধারার (সিসি) (ওয়ান)-এ বলা হয়েছে, কোনো একক বিও হিসাবের বিপরীতে নগদ অর্থ গ্রহণ ও প্রদানে এককালীন ৫ লাখ টাকার সীমা অতিক্রম করা যাবে না। -ওয়েবসাইট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জরুরি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ