পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি সংবাদদাতা : দেশের বাজারে আদা ও রসুনের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখতে এবং বাজারে চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আদা ও রসুনের আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। এদিকে ভারত থেকে পণ্য দুটির আমদানি হওয়ায় বাজারে আদা ও রসুনের সরবরাহ বেড়ে গেছে যার ফলে পণ্য দুটির দাম সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বে বন্দর দিয়ে আদা ও রসুন তেমন আমদানি না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও চীন থেকে আমদানিকৃত আদা ও রসুনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে দেশের বাজারে ভারতীয় আদা ও রসুনের চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আদা ও রসুনের আমদানি শুরু হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২টি ট্রাকে ৩০ টন ৬শ’ কেজি আদা আমদানি হয়েছে। আগস্ট মাসে ৬টি ট্রাকে ৯৭ টন ৪শ’ কেজি রসুন আমদানি হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ২টি ট্রাকে ২৯ টন আদা ও ৪টি ট্রাকে ৮০ টন ৫শ’ কেজি রসুন আমদানি হয়েছে। অক্টোবর মাসে ৬টি ট্রাকে ১১৮ টন ৩শ’ কেজি রসুন আমদানি হয়েছে। নভেম্বর মাসে ৫টি ট্রাকে ১০১ টন ৫শ’ কেজি রসুন ও ২টি ট্রাকে ৩২ টন ৬শ’ কেজি আদা আমদানি হয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ হতে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫টি ট্রাকে ৮৬ টন ৮শ’ কেজি রসুন ও ৩টি ট্রাকে ৪৭ টন ৫শ’ কেজি আদা আমদানি হয়েছে।
বাংলাহিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানিকৃত রসুন প্রতি কেজি প্রকারভেদে ১শ’ ২০ টাকা থেকে ১শ’ ৩০ টাকা কেজি দরে, আর খুচরাতে ১শ’ ৪০ টাকা থেকে ১শ’ ৫০ টাকা দরে বেচা কেনা হচ্ছে। আর দেশী রসুন প্রকারভেদে ১শ’ ৫০ টাকা থেকে ১শ’ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানিকৃত ভারতীয় আদা প্রকারভেদে পাইকারীতে ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরাতে এসব আদা কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে নতুন জাতের দেশী কাঁচা আদাও ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রæপের সভাপতি মো. হারুন উর রশীদ হারুন জানান, সাধারণত আদা ইন্দোনেশিয়া থেকে ও রসুন চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশে আমদানি হয়ে থাকে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পূর্বে তেমন আদা ও রসুন আমদানি না হলেও বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আদা ও রসুন আমদানি হচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে দেশের বাজারে আদা ও রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখি হওয়ার কারণে ও বাজারে দেশীয় জাতের আদার সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দেশের বাজারে পণ্য দুটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং বাজারে চাহীদার কথা মাথায় রেখে আমদানিকারকরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য দুটির আমদানি শুরু করেছেন এর ফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আদা ও রসুনের আমদানির পরিমাণ পূর্বের তুলনায় বেড়েছে। যার ফলে বাজারে পণ্য দুটির দাম সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে প্রতি মেট্রিক টন আদা ও রসুন প্রকারভেদে ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। আর কাস্টমসে প্রতি মেট্রিক টন আদা ৭শ’ মার্কিন ডলার মূল্যে ও রসুন ৯শ’ মার্কিন ডলার মূল্যে শুল্ক পরিশোধ করা হচ্ছে। দেশের বাজারে যতদিন পণ্যটির চাহিদা থাকবে ততদিন বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য দুটির আমদানি করা হবে। তবে বাজারে ইতোমধ্যেই নতুন জাতের আদা উঠতে শুরু করেছে যার ফলে বন্দর দিয়ে আদার আমদানি কমাতে শুরু করেছেন আমদানিকারকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।