পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রতিটি ট্রেনের বগিতে লেখা থাকে ‘ট্রেন থামাইতে হইলে শিকল টানুন, অযথা টানিলে ২০০ টাকা দ-’। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শিকল টেনে ট্রেন থামানোর পদ্ধতি আর নেই। বাংলাদেশে এখনো আছে। এমনকি সম্প্রতি ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে যেসব অত্যাধুনিক কোচ আমদানি করা হয়েছে সেগুলোতেও রহস্যজনক কারণে পুরাতন এই পদ্ধতি চালু রাখা হয়েছে। আর এই পদ্ধতি ব্যবহার করে দৃষ্কৃতকারীরা অপরাধ কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেসকে বিমানবন্দর স্টেশনের আউটারে এ পদ্ধতিতে থামিয়ে নিরাপদে নেমে গেছে চোরাকারবারিরা। তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ওই ট্রেনের পরিচালক। এ ঘটনায় মৈত্রীর যাত্রীরা আতঙ্কিত। তারা আন্তর্জাতিক এই ট্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ট্রেনে কর্তব্যরত পুলিশের অবহেলায় এই ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেসের এক যাত্রীর ভাষ্য মতে, ট্রেনটি কলকাতা থেকে ছাড়ার পরপরই তিনি যে বগিতে উঠেছিলেন সেই বগির কিছু যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হচ্ছিল। তারা পরস্পর ঠাট্টা-মস্করা আর ইয়ার্কি করে কামরাটা গরম করে তুলেছিল। সংখ্যায় তারা ১২-১৩ জন। একজনের সাথে ৫-৬টি করে লাগেজ। ভারত ও বাংলাদেশ দুই কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের সবার সাথে তাদের সখ্যতা চোখে পড়ার মতো। ওই যাত্রী বলেন, অনেক পরে বুঝেছি এরা লাগেজ পার্টি। কলকাতা থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মালামাল এনে ঢাকায় বিক্রি করে।
মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত আসে। ট্রেনটি জয়দেবপুর অতিক্রম করার পরই খবর আসে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ব্লক রেইড দেয়া হবে। একথা লাগেজ পার্টির কানে যাওয়ার পর তারা তৎপর হয়ে ওঠে। বিমানবন্দর স্টেশনের আউটারে তারা শিকল টেনে ট্রেনটি থামিয়ে দেয়। আন্তর্জাতিক ট্রেন বলে মৈত্রী থেকে পথিমধ্যে নামার কোনো নিয়ম নেই। এ কারণে চোরাকারবারিরা ট্রেন থেকে নামতে গেলে কর্তব্যরত গার্ড এসে বাধা দেন। এসময় তারা গার্ডের সাথে প্রথমে তর্কে লিপ্ত হয়। পরে হয় হাতাহাতি। অসহায় গার্ড তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চোরাকারবারিদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় শত শত যাত্রীর কেউ ভয়ে গার্ডের পক্ষে এগিয়ে আসেননি। এমনকি রহস্যজনক কারণে ট্রেনের কর্তব্যরত পুলিশও ছিল নিষ্ক্রিয়। ৭-৮ জন কালোবাজারি তাদের ৩-৪টি লাগেজসহ ট্রেন থেকে নামার পর পুলিশ এসে দু’জনকে আটক করে। ওই ট্রেনের আরেক যাত্রী বলেন, এটা নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি। একটা আন্তর্জাতিক ট্রেন মাঝপথে থামিয়ে চোরাকারবারিরা এভাবে বলপ্রয়োগ করে নেমে গেল আর ট্রেনের পুলিশ কিছুই করতে পারল না। এটা মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, শুধু আমি না এ ঘটনা পুরো ট্রেনের যাত্রীদের আতঙ্কিত করেছে। আগামীতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।