বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : হ্রদে পানির স্তর কমে যাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় আগামী দু’এক মাসের মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলার সাথে ছয়টি উপজেলা যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
দেশের একমাত্র পরিকল্পিত হ্রদ ও কাপ্তাই বাঁধ তৈরির পর হতে ড্রেজিং না করার কারণে আজ আস্তে আস্তে হ্রদের নাব্যতা দিন দিন কমে আসছে। যার ফলে হ্রদের পানি শুকিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা, মৎস্য উৎপাদন, বিদ্যুৎ হ্রাসসহ শিল্প উন্নয়নে সকল কাজে ভাটা পড়েছে। ১৯৬০ সালের কাপ্তাই বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। যার এলাকার ক্যাচমেন্ট এরিয়া ৪২৮৫০ বর্গমাইল এবং ১০৯ ফুট পানির উচচতা ও উচচতার জলাধারে পানির এরিয়া ৩০ বর্গমাইল। কাপ্তাই হ্রদের তথ্য মতে জানা যায় যে, পাঁচটি উপজেলার সাথে নৌযাতায়াত ব্যবস্থা সহজকরণ, বনাঞ্চল হতে কেপিএমের কাঁচামাল সংগ্রহকরণ, হ্রদে বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষের মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণ, কৃষি ব্যবস্থা ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উক্ত হ্রদটি সার্বিক বিবেচনায় দেশের বৃহৎ পরিকল্পিত হ্রদ হিসেবে গড়ে তোলা হয়। দেশ বিদেশে এ হ্রদের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এ হ্রদের সুষ্ঠু দেখভাল করার জন্য রয়েছে পরিচালনা কমিটি। হ্রদে উন্নয়নে সম্বন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে অচিরেই দেশের বৃহত্তর মৎস প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে খ্যাতি লাভ করবে এবং সরকার বিশাল অংকের রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে।
এলাকার মৎস্যজীবীরা বলেন, হ্রদ খনন না করার কারণে পানির নাব্যতা কমে গিয়ে মাছ চাষ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। হ্রদের পাড়ে গড়ে উঠা বসতির টনে টনে বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে এবং পাহাড়ের কাঁদা মাটি লেকে পড়ায় পানির স্তর কমে যাওয়ার ফলে হ্রদের বিভিন্ন এলাকায় চর জেগে উঠেছে। হ্রদেও বোট চালকরা জানান, যুগ যুগ ধরে কাপ্তাই হ্রদ খনন না করার কারণে রাঙ্গামটি জেলার পঁচাটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সময় অচল হয়ে পড়ে। চলতি মৌসুমে পানি কমতে শুরু করায় নৌ যোগাযোগ বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে। এশিয়ার বিখ্যাত চন্দ্রঘোনাস্থ কর্ণফুলী পেপার মিলস লি: (কেপিএম) এর অন্যতম কাঁচামাল বাঁশ ও নরম কাঠ (পাল্পউড) সংগ্রহ করে হ্রদের পানিতে ভাসিয়ে কাপ্তাই চিপ হাউসে আনা হয়। পানি কমে গেলে ঠিকাদারেরা কাঁচামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। পানি কমে গেলে কৃষকের ক্ষেতখামারে পানি সেচ ও ব্যবহারে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়ে হয় কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। যেহেতু কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে বাঁধের উপরের পানি স্তরের উপর। প্রায় সময় কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে গলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চরম বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। সূত্র জানায়, কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট। শুষ্ক মৌসুমে পানি স্তর কমে গেলে দৈনিক গড়ে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন রাখতে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।