Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাকিস্তানের রেকর্ড হার

| প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : চার দিনের একদিন ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। বাকি তিন দিনে দু’দলের প্রথম ইনিংসই শেষ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতেও যে দৃড় মনোবলকে পুঁজি করে ম্যাচ জেতা যায় সেটাই পাকিস্তানকে শেখালো অস্ট্রেলিয়া। মিসবাহ-উল-হকের দলকে ১৬৩ রানে গুটিয়ে ইনিংস ও ১৮ রানের জয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্টিভেন স্মিথবাহিনী। সিরিজটাও ২-০ ব্যবধানে পকেটস্থ করল অস্ট্রেলিয়া।
এক মিচেল স্টার্কের ঝাপটাই সামলাতে পারেনি পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট হাতে পাক বোলারদেন নাজেহাল করে ৯১ বলে ৭ ছক্কার রেকর্ড আর ৩ চারে করেন ৮৪ রান। ঐতিয্যবাহী মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাইন্ডে (এমসিজি) এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এখন এই বাঁ হাতি পেসারের দখলে। পরে বল হাতে নেন ৩৬ রানে ৪ উইকেট। এতেও অবশ্য ম্যাচসেরার পুরষ্কার জুটেনি স্টার্কের ভাগ্যে! অস্ট্রেলিয়ার ৬২৪ রানের বিশাল সংগ্রহের মূল নায়ক যে স্মিথ। ২৪৬ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৬৫ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ থেকে বের হন অজি অধিনায়ক। ৬ উইকেটে ৪৬৫ রান নিয়ে দিন শুরু করে সপ্তম উইকেটেই স্মিথ-স্টার্ক গড়েন ১৫৪ রানের জুটি। স্টার্কের পর নাথান লায়ন বিদায় নেয়ার সাথে সাথে মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই আসে ইনিংস পরিসমাপ্তির ঘোষনা। ততক্ষণে ১৯৩৬-৩৭ অ্যাসেজে গড়া এমসিজিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬০৪ রানের রেকর্ড টপকে নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা।
ইনিংস হার এড়াতেই পাকদের করতে হতো ১৮১ রান। কিন্তু স্টার্কের সাথে লায়ন-হ্যাজেলউডরাও তেমন মুডে ছিলেন না। দ্বিতীয় ওভারে সামি আসলামকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন জস হ্যাজেলউড। ৫ ওভার না জেতেই বাবর আজমকে ফেরান স্টার্ক। এরপর ইউনিস খান ও আজহার আলী কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। কিন্তু দলীয় ৬৩ রানে ইউনিস (২৪) ফেরার এক বল পরেই মিসবাহও (০) সাজঘরের পথ ধরলে শঙ্কটে পড়ে সফরকারী ইনিংস। ইউনুস-মিসবাহর পর আসাদ শফিককেও (১৬) ফিরিয়ে সবচেয়ে বড় আঘাত হানেন লায়ন। চা বিরতির সময়ও এই ৫ উইকটে ৯১ রান পাকিস্তানের। শেষ সেশনটা বাকি ৫ উইকেটে কোনমতে কাটিয়ে দিতে পারলে অন্তঃত ড্র হত ম্যাচটা। ভরসা হয়ে ছিলেন প্রথম ইনিংসের ডাবল হান্ড্রেড হাঁকানো আজহার। কিন্তু তার প্রচেষ্টারও সমাপ্তি ঘটে দলীয় ১০১ ও ব্যক্তিগত ৪৩ রানে। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন সরফরাজ আহমেদ। আজহারের মত তিনিও করেন ৪৩ রান। কিন্তু তা হাড় এড়ানোর জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। বল হাতে বাকি কাজটা সারেন স্টার্ক।
এমন জয়ে উচ্ছ¡াসিত স্টার্ক, ‘যেভাবে শুরু হয়েছিল তার চেয়ে ভালোভাবে শেষ হল ম্যাচটা।’ ২৬ বছর বয়সী বলেন, ‘এভাবে ফল বের করে আনাটা আমাদের জন্য দারুণ। আমাদের বিশ্বাস ছিল এবং এভাবে শেষ হওয়টা ছিল দারুণ। আমরা জানতাম তাদের ১০ উইকেট নিতে আমাদের দুই সেশন লাগবে।’
১৬ বছর আগে টানা ৫ টেস্ট হারের রেকর্ডটা স্পর্শ করল পাকিস্তান। ৩ জানুয়ারী সিডনিতে সিরিজের শেষ টেস্ট হারলে রেকর্ডটা নতুনভাবে লেখা হবে। মিসবাহ হয়তো এমন রেকর্ডের সাক্ষি হতে চাচ্ছেন না। খারাপ ফর্মের কারনে সিডনিতে নাও খেলতে পারেন ৪৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। তেমনি আভাস দিয়েছেন পাক অধিনায়ক, ‘আমি এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তবে দেখা যাক।’
পাকিস্তান : ৪৪৩/৯ ডিক্লে. ও ৫৩.২ ওভারে ১৬৩ (সামি ২, আজহার ৪৩, বাবর ৩, ইউনিস ২৪, মিসবাহ ০, শফিক ১৬, সরফরাজ ৪৩, আমির ১১, সোহেল ১০*, ওয়াহাব ০, ইয়াসির ০; স্টার্ক ৪/৩৬, হ্যাজেলউড ২/৩৯, বার্ড ১/৪৬, লায়ন ৩/৩৩)।
অস্ট্রেলিয়া : ১৪২ ওভারে ৬২৪/৮ ডিক্লে. (রেনশ ১০, ওয়ার্নার ১৪৪, খাজা ৯৭, স্মিথ ১৬৫*, হ্যান্ডসকম ৫৪, ম্যাডিনসন ২২, ওয়েড ৯, স্টার্ক ৮৪, লায়ন ১২; আমির ০/৯১, সোহেল ৩/১৩১, ইয়াসির ৩/২০৭, ওয়াহাব ২/১৪৭, আজহার ০/৩৫)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ১৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)
সিরিজ : ৩ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ