পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : মসুলে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিরুদ্ধে নতুন অভিযানে নামছে ইরাকের সেনাবাহিনী। গত বৃহস্পতিবার ইরাকের সামরিক কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আইএসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মসুলের পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলো পুনরুদ্ধারে অভিযানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করা হয়েছে। মসুলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা প্রথম পর্বের অভিযান শেষ হয়। গত মাসেই মসুলের পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে প্রবেশ করে। প্রথম দিকে প্রবেশের সময় মসুলে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় ইরাকের সেনাবাহিনীকে। পূর্ব মসুলের স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল-ওয়াহাব আল-সাদি বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, নতুন সেনা যোগ দেওয়ার পর অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায়ে আক্রমণে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার বিশেষায়িত বাহিনী কাউন্টার-টেররিজম সার্ভিস (সিটিএস) সেনারা দ্বিতীয়বারের মতো কারামা জেলায় প্রবেশ করেছে। তারা এখন টাইগ্রিস নদী থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছেন। এ নদীই মসুলকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। প্রসঙ্গত, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় টাইগ্রিস নদীর ওপর নির্মিত সর্বশেষ সেতুটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আইএস সমর্থিত আমাক নিউজ এজেন্সি একটি ভিডিও ফুটেছে ভেঙে যাওয়া সেতুর দৃশ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর আগে মসুলের দুই অংশের মধ্যে সংযোগ রক্ষার জন্য পাঁচটি সেতু ছিল। সেতুগুলো ভেঙে ফেলায় মসুল থেকে কয়েক লাখ বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে কাজে ব্যাঘাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। মসুল পুনরুদ্ধারে ইরাকি বাহিনীর অভিযান শুরু চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর। দুই বছরেরও বেশি সময় আগে ইরাকের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু অঞ্চল দখল করার পূর্বে মসুল দখল করে আইএস। অভিযান শুরুর পর তা মন্থরগতিতে এগোতে থাকে। স্নাইপার, আত্মঘাতী বোমা হামলা ও শেল বিস্ফোরণের কারণে ইরাকি বাহিনীকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হয়। আইএস মসুল দখল করার পর এ পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। সরকার সমর্থিত বাহিনী মসুলে প্রবেশ করার পর এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।