মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দেখতে দেখতে এক বছর পূর্ণ হল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। তবে এখনও সংঘাত থামার কোনও লক্ষণ নেই। বিশ্বায়নের যুগে হাজার হাজর কিলোমিটার দূরের এই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের আঁচ ভালই পড়ছে ভারতে। কূটনীতির দড়িতে ভারসাম্যের কঠিন খেলায় নামতে হয়েছে দিল্লিকে। আর এতেই কার্যত হতাশ ইউক্রেন।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ সভায় রুশ সেনাকে ইউক্রেন থেকে সরানো নিয়ে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কিন্তু এদিন ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে ভারত ও চীন। রাশিয়ার সঙ্গে দিল্লি ও বেইজিংয়ের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের জেরেই এ সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এতেই রীতিমতো হতাশ ইউক্রেন। শুক্রবার দিল্লিতে কিয়েভের দূত ইভান কনোভালোভ জাতিসংঘে দিল্লি ভোটদানে বিরত থাকায় ইউক্রেন যে হতাশ তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে কিয়েভের দূত ইভান কনোভালোভ বলেন, “ভারত ভোটদানে বিরত থাকা ইউক্রেনের জন্য খুবই সংবেদনশীল বিষয়। আমরা ভারতের সমর্থন আশা করি। আমাদের ভরসা আছে যে ভবিষ্যতে ভারত আমাদের পাশে থাকবে।” জি-২০ জোটের সভাপতি ভারত এই যুদ্ধে ইতি টানতে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে তিনি বলেন, “জি-২০ জোটের সভাপতি ভারত। তাই দিল্লির সমর্থন ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “আমরা স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। ২০২৩ সালে এ যুদ্ধ শেশ হবে এবং আমরাই জয়ী হব।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সভায় ১৪১টি সদস্য দেশ রুশ সেনাকে ইউক্রেন থেকে সরানো প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও বিরোধিতা করে ৭টি দেশ। ভারত-চীনের মতো ৩২টি দেশ ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে। এদিন জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারত ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সাধারণ মানুষের উপরে হওয়া হামলা গভীর উদ্বেগজনক।’ কিন্তু একথা বলা সত্ত্বেও তিনি বলেন, যে প্রস্তাব রাখা হচ্ছে তাতে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি সুরক্ষার পন্থায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর তাই ভারত ভোটদান থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছে। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।