Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বোরোর বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত দুপচাঁচিয়ার কৃষক

| প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে : দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আধুনিকতার এ যুগেও প্রয়োজনের তাগিদেই অনেকেই গরু দিয়ে হাল চাষ করে এই বীজতলার জমি প্রস্তুত করছেন। বগুড়া তথা উত্তরাঞ্চলের শস্যভা-ার হিসেবে পরিচিত এই দুপচাঁচিয়া উপজেলা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় চলতি ইরি-বোরে মৌসুমে ৭২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত ২৬ ডিসেম্বর সোমবার উপজেলায় মোট ৪০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা অর্জিত হয়েছে। আমন ধান কাটার পর অনেকেই জমিতে আলু ও সরিষার চাষ করেছেন। আলু ও সরিষা উত্তোলনের পরপরই বোরো চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করবেন। তাই অনেকটা দেরি করেই অনেকে বোরো বীজতলা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন। এছাড়াও হঠ্যাৎ করে ধানের বীজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা আরো সংকটে পড়েছেন। গত বছর ৫ কেজি ধানের বীজের দাম ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হতো, যা বর্তমানে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধান বীজের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকরা আরো সংকটে পড়েছে। ফলে একদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অপরদিকে বীজতলা দেরিতে তৈরিতে ইরি-বোরো সঠিক সময়ে করতে পারবে না বলে কৃষকরা আশঙ্কা করছেন। এর মাঝেও কৃষকরা নতুন করে বীজতলার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। উপজেলায় যান্ত্রিকতার এ যুগেও হালচাষ খুব একটা চোখে না পড়লেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই প্রয়োজনের তাগিদেই গরু দিয়ে হালচাষ এখনো অব্যাহত রেখেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সদরের সরদারপাড়ার মোবারক হোসেন, ধুলু প্রামানিক, পূর্ব আলোহালী গ্রামের মো. বদরুল ইসলাম (বুলু), খাজা, খলিলুর রহমান, জিয়া নগরের মহসীন আলী, মোজাফফর রহমান, সাজ্জাত হোসেন, ইসহাক আলী, খেহালী গ্রামের ফজলুর রহমান “দৈনিক ইনকিলাব”-কে জানান, ইতোমধ্যেই অনেক কৃষক বীজতলা তৈরি শুরু করেছেন। ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলা কিছুটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ক্ষতিরোধকল্পে কাজ করা হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে অনেক ক্ষেত্রে চারা বিনষ্ট হয়। আবার অধিকাংশ বীজতলার ধান চারা মুড়কে আক্রান্ত হয়। ফলে অর্থ ও শ্রম দুটোই প- হয়। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে আবহাওয়ার প্রতি দৃষ্টি দিয়ে কৃষকরা এবার ইরি-বোরো বীজতলার কাজ শুরু করছেন। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল হোসেন জানান, এ উপজেলা বীজতলা তৈরিতে এমনিতেই একমাস পিছিয়ে রয়েছে। এর মাঝে আবার ঘন কুয়াশা ও আবহাওয়া কম হলে চারা গজানোর অসুবিধা দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে বীজতলার সংকট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চারা সংকটে কৃষককে সচেতন করার লক্ষ্যে কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ