পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২২ সালের জানুয়ারি-নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ইইউ দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ পোশাক আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। আমদানি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রয়েছে প্রথম স্থানে।
পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ১১৮ কোটি ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে এ অঞ্চলের দেশগুলো। এ হিসেবে ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় আমদানি বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্ব থেকে ৯ হাজার ৫১৭ কোটি ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
চীন ২৯ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ইইউর সর্ববৃহৎ পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের ১১ মাসে চীন থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭৯৮ কোটি ডলার। বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি ছিল ১৯ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বাসসকে বলেন, এই পরিসংখ্যানের উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক পোশাক বাণিজ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয়, ইউরোপেও আমরা দ্বিতীয়। ভালো সংবাদ যে, ইউরোপে প্রবৃদ্ধি অর্জনে আমরা প্রথম। আমরা প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছি। বাংলাদেশ সাড়ে ৩৮ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, চীনের অর্জন ২০ শতাংশের মতো।
বিজিএমইএ পরিচালক বলেন, যে প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশিত ছিল নভেম্বরের পর থেকে তা বজায় থাকেনি। করোনা পরবর্তী মন্দা নভেম্বরের পর আঘাত করেছে। তবে আমদানি কমলেও প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যদের চেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ক্রেতাদের বাংলাদেশের প্রতি আস্থা বেশি বলে জানান মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, চীন ও অন্যান্য দেশের বিবেচনায় গ্রিণ ফ্যাক্টরি ও নতুন নতুন পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো করছে।
ইউরোস্ট্যাট জানায়, একই সময়ে তুরস্ক থেকে আমদানি ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, মোট আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০৯ ডলার। ভারত থেকেও আমদানি ৪৫৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ইইউ অঞ্চলে অন্য শীর্ষ সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি যথাক্রমে ৩৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ৩৪ দশমিক ১৬ শতাংশ, ২৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ, ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ২৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।