পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তে ইটের দেয়াল তৈরির একটি প্রস্তাব রাখাইন (আরাকান) রাজ্যের আইনসভায় নথিভুক্ত হয়েছে। মিয়ানমারের একটি রাজনৈতিক দল ইউএসডিপি’র (ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি) পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব তুলে ধরা হয় গত সপ্তাহে। এরপর গত সোমবার তর্ক-বিতর্ক শেষে তা আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়। ইউএসডিপি দলের একজন এমপি ইউ জো জো মিং এই প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে বার্মা সীমান্তকে আলাদা করতে সীমান্তে ৩০ থেকে ৪০ ফুট উঁচু ইটের দেয়াল তোলার সুপারিশ করেন।
দু’দেশের মধ্যকার প্রস্তাবিত এই দেয়ালের ঘনত্ব ৫ থেকে ১০ ফুট করার কথাও বলেন তিনি। তবে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দেয়াল তৈরির প্রস্তাব রাজ্যের পার্লামেন্ট পর্যন্ত গেলেও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে এ ধরনের কোনও খবর নেই। বিজিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এমনটাই জানা গেছে।
এক দেশ থেকে আরেক দেশে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তার কারণে পশ্চিমা অনেক দেশে এ ধরনের দেয়াল তৈরির চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে উল্লেখ করেন মিয়ানমারের ওই রাজনৈতিক নেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারে মেক্সিকোর সঙ্গে দুই হাজার মাইল এলাকাজুড়ে সীমান্তে দেয়াল তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন ওই ঘোষণা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল। তবে এবার মিয়ানমারের ভেতরে এই ধরনের আলোচনা শুরু হলো। আরাকান রাজ্যের তিনজন এমপি এই প্রস্তাবে সমর্থন দেন।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সীমান্তে ১২৭ মাইল এলাকাজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া তৈরির কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবশ্য এ ধরনের কোনও বেড়া তৈরি করা হয়নি।
রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তা ও সীমান্তবিষয়ক মন্ত্রী কর্নেল তেইং লিন এ প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। প্রস্তাব গ্রহণ করে তিনি বলেছেন, আমি প্রস্তাবে আপত্তি করছি না। কারণ এরইমধ্যে সীমান্তে আমাদের কাজ চলছে। ফলে এটি রেকর্ড হিসেবে লিপিবদ্ধ করছি।
সম্প্রতি আরাকান রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জাতিগত নিধনকা-ের প্রেক্ষাপটে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া বহু রোহিঙ্গা মুসলিম এখানে বিয়ে করে স্থায়ী হয়েছেন। বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা পাঁচ লাখ বলা হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হয়। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।