গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর গুলশান ২-এ বহুতল ভবনে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। এজন্য গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। ইতোমধ্যে ভবনটি মালিকদের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল আহাদ। তিনি বলেন, গুলশান-২ এর ১০৪ নং সড়কের ২/এ ভবনের নকশা, আগুনের কারণসহ অন্য কোনো ত্রুটি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখবে ফায়ার সার্ভিস ও রাজউক। আমরা প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি— সূত্রপাত ঘটেছিল বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে।
উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল আহাদ বলেন, গুলশানে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজন মারা গেছেন। গতকাল আনোয়ার নামে একজন এবং আজ ভোর ৪টার দিকে রাজু নামে আরেকজন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত আমরা দুইজনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। আরও দুইজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং তারা চিকিৎসা নিয়েছে বলে আমরা জেনেছি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) আমরা এসেছিলাম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেছি। রাস্তাঘাট, পানিসহ অন্যান্য বিষয়গুলো আমরা ব্যবস্থা করতে পেরেছি।
গুলশান বিভাগের ডিসি বলেন, আমরা বারবার বলেছি যে আপনারা নিজে লাফ দেবেন না। তারা যদি লাফ না দিতেন হয়ত মারা যেতেন না। যারা লাফ না দিয়ে কষ্ট করে ছিলেন, তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ভবনটির বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে ডিসি আহাদ বলেন, আমরা ভেতরে প্রবেশ করছি না। ফ্ল্যাটের মালিকরা ভবনের নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়ে প্রবেশ করছেন। ভেতরে কী অবস্থা তা ফ্ল্যাট মালিকরাই বলতে পারবেন। ভবনটি এখন মালিকদের জিম্মায় রয়েছে। আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।