পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
নিজের দেশের অর্থনীতি চরম সঙ্কটে। অথচ বিপদ মোকাবিলায় অন্য দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে এতটুকুও কার্পণ্য নেই পাকিস্তানের। কম্পন বিধ্বস্ত তুরস্ক পুনর্গঠনের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থসাহায্য করলেন এক পাকিস্তানি ব্যবসায়ী। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, আমেরিকার তুর্কি দূতাবাসে গিয়ে ৩ কোটি মার্কিন ডলার তুলে দেয়া হয়েছে সে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ টুইট করে তুরস্ককে সাহায্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ঘটনায় আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। আমেরিকায় বসবাসকারী আমাদের এক নাগরিক সেখানকার তুরস্ক দূতাবাসে গিয়ে ৩ কোটি ডলার সাহায্যের জন্য দিয়ে এসেছে। আমরা এই কাজে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত। এভাবেই বিপদের মুহূর্তে সব কিছুর ঊর্ধ্বে মানবতার জয় হয়ে এসেছে চিরকাল।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত মুরাত মারকান, ওয়াশিংটন দ্বারা শুরু করা একটি সাহায্য প্রচারে বেনামী অবদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যাইহোক, পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রশংসা করে মন্তব্য করার জন্য শরিফকে বিদ্রুপ করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার বেসামরিক-সামরিক সম্পর্কের একজন লেখক এবং বিশেষজ্ঞ সাইশা সিদ্দিকা, শরীফকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, কেন জনহিতৈষী ‘নিঃশব্দে পাকিস্তানি দূতাবাসে প্রবেশ করেননি’ এবং পাকিস্তানে অর্থ দান করেননি। আয়েশা সিদ্দিক নামে এক সাংবাদিকের কটাক্ষ, ‘যিনি তুরস্ককে সাহায্য করতে গিয়েছেন, তিনি পাকিস্তানের খাদ্য সংকটের সময় অর্থ দিলেন না কেন, তা ভেবে অবাক হচ্ছি।’ আরেক সাংবাদিক রীতিমতো রাগত স্বরেই বলছেন, ‘নিজেকে জিজ্ঞেস করুন কেন পাকিস্তানকে অর্থ না দিয়ে তুরস্ককে সাহায্য করলেন?’ কোষাগারে টান পড়ায় মুদ্রাস্ফীতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানে। রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সাধারণের নাগালের বাইরে। মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও মাঝেমাঝে ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক অর্থভা-ারের কাছে হাত পেতেছিল পাকিস্তান। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর একাধিক শর্তসাপেক্ষে ১১০ কোটি ডলার ঋণ দিতে রাজি হয়েছে আইএমএফ। তাতে সাময়িকভাবে আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে পাকিস্তান। এমনই অবস্থা যে দেশের, তারা কীভাবে তুরস্ককে ৩ কোটি ডলার সাহায্য করল, তা সমালোচনার বিষয় বইকী। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।