পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা (মেনা) অঞ্চলের কিছু দেশের সরকারি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, যথাযথ মুদ্রানীতি তৈরি না হলে হঠাৎ করে কোনো সংকট মোকাবেলা করা দেশগুলোর জন্য কঠিন হয়ে যাবে। খবর রয়টার্স। চলমান সংকট মোকাবেলায় দেশগুলোকে শক্তিশালী আর্থিক কাঠামো ধারণ করতে এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। এর আগে গত মাসে এক পূর্বাভাসে আইএমএফ জানিয়েছিল, চলতি বছর মেনা অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক ধীরগতির হবে। এ বছরের জন্য ৩ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘সরকারি ঋণ বেশ উদ্বেগের বিষয়। বিশেষ করে যে দেশগুলোকে তেল আমদানি করতে হয়। সেগুলোর জন্য এটি বেশ গুরুতর এবং এটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। কারণ এ অঞ্চলের দেশগুলোর মূল্যস্ফীতি এখনো অনেক বেশি। বর্তমানে দেশগুলোয় গত কর থেকে জিডিপির অনুপাত ১১ শতাংশ, যা বাড়িয়ে অন্তত ১৫ শতাংশ করতে হবে। টেকসই অর্থনীতির জন্য এসব দেশের জন্য কর নীতি অন্তত ১৫ শতাংশ করা উচিত।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে সামনের দিনগুলোয় অপেক্ষাকৃত দুর্বল জনগোষ্ঠীর মানুষের খাদ্যসংকটের সৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে এ অঞ্চলে বেকারত্বের উচ্চহার, বিশেষ করে বেকার তরুণদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া সামাজিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করেছে। আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘ভয়াবহ ভ‚মিকম্প তুরস্ক ও সিরিয়ায় অসংখ্য মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এটা যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য যে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ তুরস্কের অর্থনীতির ওপর দীর্ঘমেয়াদি ছাপ রেখে যাবে। অর্থাৎ এ ধরনের ধাক্কা থেকে প্রত্যাবর্তনের জন্য আমাদের আরো প্রস্তুতি নিতে হবে।’ টেকসই নয় এমন ঋণ ও আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক আরো গভীর করার পরামর্শ দিয়েছেন আইএমএফ প্রধান। কারণ হিসেবে এটাও বলেন, ‘অঞ্চলটি বিশ্বের অন্য যেকোনো এলাকার তুলনায় দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে। তাই আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার বিষয়টি আলোচনায় রাখতেই হবে।’ রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।