Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হবে

তুরস্ক-সিরিয়াকে ৬৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে সউদী

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়াকে ৬৬ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিচ্ছে সউদী আরব। সউদী বাদশাহর কার্যালয় থেকে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য এ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সাত লাখেরও বেশি সউদী নাগরিক এ তহবিলে অর্থ দান করেছেন। এ পর্যন্ত ২৫০ মিলিয়ন রিয়েল (৬৬.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) জমা পড়েছে এ তহবিলে। সউদী সরকারের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত সাত লাখ ৯ হাজার ৭৭৫ জন নাগরিক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ দুটির মানুষকে সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়েছেন। বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ রিলিফ সেন্টারের উদ্যোগে গত বুধবার থেকে এ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৬ আরব দেশ যৌথভাবে জরুরি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা নিয়ে তুরস্ক ও সিরিয়া যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আনাদোলু এ খবর জানিয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। তুরস্কে এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন ২১ হাজার ৮৪৮ জন। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৫৩ জন। এ নিয়ে দুই দেশ মিলিয়ে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ হাজার ৪০১ জন।এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ। ধ্বংসস্তূপ সরানোর সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসছে লাশ। এমন বাস্তবতায় জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস বলছেন, ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে মোট মৃত্যু বর্তমান সংখ্যার দ্বিগুণের বেশি হবে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম স্কাই নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় আজ শনিবার এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, কত মানুষের মৃত্যু হবে, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। কারণ, ধ্বংসস্তূপগুলোতে এখনো খোঁজ চালিয়ে যেতে হবে। তবে আমি নিশ্চিত মৃত্যুর সংখ্যাটা দ্বিগুণ বা এর চেয়ে বেশি হবে। শনিবার সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কে ২১ হাজার ৮৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৫৫৩ জন। ফলে দুই দেশে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৪০১ জনে। এদিকে তীব্র ঠান্ডাসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এখনো অনেককেই ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে। মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো মানুষ আটকা পড়ে আছে, এটা বেদনাদায়ক। তাদের অনেকেই জীবিত। কোনো দুর্যোগের পর প্রথম ৭২ ঘণ্টা উদ্ধারের জন্য ‘সোনালি সময়’ ধরা হয়। সেই সময়টা পেরিয়ে গেছে। তবে এখনো যেহেতু জীবিত মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে, তাই কখন উদ্ধারকাজ বন্ধ করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়টা কঠিন। আনাদোলু, রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ