Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কে হচ্ছেন দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট

প্রেসিডেন্ট পদে আ.লীগের মনোনয়ন জমা আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট ভোটের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ রোববার। কিন্তু এখনো কোনো প্রার্থী মনোনয়ন ফরম নেয়নি। তবে গতকাল শনিবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার কথা থাকলে তা কেউ উত্তোলন করেনি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। আগামী ২৫ জানুয়ারি আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সিইসির কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১২ ফেব্রæয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই শুরু হবে ১৩ ফেব্রæয়ারি সকাল ১০টা থেকে এবং প্রত্যাহার ১৪ ফেব্রæয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সংসদ ভবনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ফেব্রæয়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

গত ৭ ফেব্রæয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মনোনয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দলের সংসদ সদস্যরা দায়িত্ব দেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে কাকে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দেবেন বা চূড়ান্ত করেছেন, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ জানেন না বলেও ওই সূত্রগুলো জানায়।

আগামী ১৯ ফেব্রæয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। জাতীয় সংসদের সদস্যরা ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। তবে একজন প্রার্থী থাকলে ভোটের প্রয়োজন হবে না। ১৩ ফেব্রæয়ারি নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া মোনয়নপত্র বাছাই হবে। একজন প্রার্থী থাকলে ওই দিনই নিশ্চিত হওয়া যাবে কে হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। সে ক্ষেত্রে আওযামী লীগ থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে তিনিই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পরিচালনা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, যিনি এ নির্বাচনের ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা’। নির্বাচনী কর্মকর্তার কার্যালয়ের (প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অফিসে নির্ধারিত দিনে অফিস চলাকালে) মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হলে তাকেই বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে বিধিমালা অনুযায়ী ভোট হবে। আগামী ২৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে।

সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ সদস্যরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন। আর প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থীর সমর্থক ও প্রস্তাবক হতে হয় সংসদ সদস্যদের। বিরোধী দল ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী দেবেন না বলে আগেই জানিয়েছেন। আর সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই নির্বাচিত হবেন। জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী অন্য দলগুলোর প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই দলগুলোর আসন সংখ্যা খুবই কম। প্রার্থী দিলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে ভোটে জেতার সম্ভাবনা নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এই নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। সংসদ সদস্যরাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটার। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচনী কর্মকর্তার সামনে নির্ধারিত ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও নিজের স্বাক্ষর দিয়ে তা জমা দিতে হবে। এরপর ভোটারদের ব্যালট পেপার সংগ্রহ করতে হবে। ভোট দেওয়ার পর সংসদ কক্ষে স্থাপিত এক বা একাধিক ব্যাটল বাক্সে তা জমা দিতে হবে। প্রত্যেক সংসদ সদস্যের একটি মাত্র ভোট থাকবে। সংসদ সদস্য হিসেবে স্পিকারও এ নির্বাচনের ভোটার। ভোটের দিন গ্যালারিসহ সংসদ কক্ষে প্রার্থী, ভোটার, ভোট নেওয়ায় সহায়তাকারী কর্মকর্তা ছাড়া সবার প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করবেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনার প্রকাশ্যে ভোট গণনা করবেন। সর্বাধিক সংখ্যক ভোটপ্রাপ্তকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হবে। আর সমান ভোট পেলে প্রার্থীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করা হবে।

যদিও ১৯৯১ সালে পরোক্ষ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিধান চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সাতবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একবার প্রেসিডেন্ট পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় সংসদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দেয়। আর ওই সময় বিরোধীদল ও বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছিল বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীকে। ওই নির্বাচনে আব্দুর রহমান বিশ্বাস বিজয়ী হন। এছাড়া, প্রতিবার একক প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর কমিশন গেজেটে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে একক প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রেসিডেন্ট

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ