পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত আইন তৈরি ও সে অনুযায়ী সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রেসিডেন্টের ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে আট দফা প্রস্তাব প্রেসিডেন্টের কাছে উপস্থাপন করা হয়।
প্রস্তাবনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেÑ নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বাধীন পরিবেশে কাজ করতে পারে।
সংবিধানের ১১৮ বিধি বাস্তবায়নার্থে আইনের বিধানাবলি অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইন তৈরি করা। প্রেসিডেন্ট জরুরি ভিত্তিতে সংসদ অধিবেশন ডেকে বা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করতে পারেন। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় লাগতে পারে।
এই আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল থাকবে। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে এই সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠিত হবে। এই সাংবিধানিক কাউন্সিল প্রেসিডেন্টের কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করবেন। প্রেসিডেন্ট তাদের পরামর্শমতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। এছাড়া বিকল্প হিসেবে ইসি নিয়োগের জন্য প্রেসিডেন্ট কর্তৃক একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে দলটির।
সংলাপে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপির নেতৃত্বে পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, পলিট ব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, নুরুল হাসান, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, ইকবাল কবির জাহিদ, হাজেরা সুলতানা এমপি, কামরুল আহসান, অ্যাড: মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি অংশ নেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি বিকেল পৌনে ৪টায় বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা সংলাপ করে দলটি।
উল্লেখ্য, বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হয়েছে ১৮ ডিসেম্বর। ২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টি, ২১ ডিসেম্বর এলডিপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সঙ্গে সংলাপ করেছেন প্রেসিডেন্ট। ২৯ ডিসেম্বর বিএনএফ ও ইসলামী ঐক্যজোট, ২ জানুয়ারি জেপি (মঞ্জু) এবং ৩ জানুয়ারি তরিকত ফেডারেশন ও বিজেপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বঙ্গভবন থেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।