পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
কয়েক বছর ধরেই অন্যদের অজান্তে বিমান ঘাঁটি তৈরির কাজ চালাচ্ছিল মধ্যপ্রাচ্যের পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ দেশ ইরান। এবার নিজেদের সেই ঘাঁটির ভিডিও প্রকাশ করেছে তেহরান। ‘ঈগল ৪৪’ নামের এ ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে পাহাড়ের নিচে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা নিউজ। সংবাদমাধ্যমটি ঘাঁটির বিবরণে বলেছে, ‘এটি ইরানের বিমান বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এর ভেতর ক্ষেপণাস্ত্রসহ যুদ্ধবিমান রাখা আছে। এ ঘাঁটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি পাহাড়ের কাছে এবং ‘পৃথিবীর গভীরে’ অবস্থিত। যুদ্ধবিমান ছাড়াও এর ভেতর ড্রোন রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছে ইরনা নিউজ। সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, গত কয়েক বছরে পুরো ইরানজুড়ে অসংখ্য বিমান ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। মাটির নিচে তৈরিকৃত এ ঘাঁটি সেগুলোরই একটি। ইরনা নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী ইসরায়েলের যে কোনো হামলা প্রতিরোধে এই ঘাঁটি থেকে তাৎক্ষণিক বিমান উড্ডয়ন সম্ভব। ইরানের কোন জায়গায়, কোন প্রদেশে বা কোন অঞ্চলে এ ঘাঁটির অবস্থান সেটি জানায়নি সেনাবাহিনী। এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে একটি গোপন ড্রোন ঘাঁটি প্রকাশ্যে আনে তেহরান। এদিকে ইরানের কাছে ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের আগের কিছু মার্কিন যুদ্ধবিমান আছে। এছাড়া তাদের কাছে আছে রাশিয়ার তৈরি মিগ ও সুখোই বিমান। তবে পশ্চিমারা কয়েক দশক ধরে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় খোলা যন্ত্রাংশ না পাওয়ায় এসব বিমান দিনে দিনে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। ইরনা, আল আরাবিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।