পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি খাতকে টার্গেট করে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে, সে বিষয়ে তাদের সতর্ক করেছে সউদী আরব। বিশ্বের সর্বোচ্চ তেল উৎপাদনকারী দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সালমান আল সৌদ হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে প্রয়োজনের সময় তারাই তেল পাবে না। প্রিন্স আব্দুল আজিজ বলেছেন, মস্কোর বিরুদ্ধে যেভাবে নিয়ন্ত্রণমূলক তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে, তার ফলাফল ভালো হবে না। ভবিষ্যতে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কমে গেলে প্রয়োজনের সময় তারাই (পশ্চিমা দেশগুলো) জ্বালানি পাবে না। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সউদী রাজধানী রিয়াদে শিল্প বিষয়ক এক সম্মেলনে প্রিন্স আব্দুল আজিজ সতর্ক করে বলেন, যখন জ্বালানির চাহিদা বেড়ে যাবে তখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা ব্যাকফায়ার (হীতে বিপরীত) হবে। তিনি বলেন, তারা যেভাবে স্যাংশন ও এমবার্গো দিচ্ছে, তাতে সরবরাহ কমে গেলে তাদের প্রয়োজনের সময় জ্বালানি পাবে না পশ্চিমা দেশগুলো। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে মস্কোর বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। তাদের নিষেধাজ্ঞার অন্যতম টার্গেট হলো রাশিয়ার জ্বালানি খাত। যাতে মস্কোকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করা যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া ততটা কাবু হয়নি বলেই মনে হয়। বিশ্বের বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের অন্যতম দুই সদস্য সউদী আরব ও রাশিয়া। এর আগে গত বছর পশ্চিমা জোট রাশিয়ার তেলের মূল্য নির্ধারণ করে দিলে ওপেক তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সময় য্ক্তুরাষ্ট্রের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে সউদী আরব। যা নিয়ে রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। সউদী মন্ত্রীর সর্বশেষ এই হুঁশিয়ারি সেই টানাপোড়নে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।