পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্ককে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ায় রাসায়নিক, মাইক্রোচিপ এবং অন্যান্য পণ্য রপ্তানি সম্পর্কে তুরস্ককে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এগুলো ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধের প্রচেষ্টায় ব্যবহার করা হলে তুর্কি কোম্পানি বা ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রনালয়ের শীর্ষ নিষেধাজ্ঞা কর্মকর্তা ব্রায়ান নেলসন তুরস্কের সরকারি এবং বেসরকারি খাতের কর্মকর্তাদের সাথে এই ধরনের পণ্যের প্রবাহ ব্যাহত করতে আরও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যাংকারদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় নেলসন বলেছেন,দীর্ঘ বছর ধরে রাশিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে তুর্কি প্রতিষ্ঠানগুরো ‘বিশেষত সুনাম ও নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ’ কিংবা জি-সেভেনের বাজারে প্রবেশাধিকার হারাবে।’ তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ার সামরিক শিল্পে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন সম্ভাব্য দ্বৈত-ব্যবহারের প্রযুক্তি স্থানান্তর সম্পর্কিত লেনদেন এড়াতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত’ তুর্কি প্রতিষ্ঠানগুলোর। অপর এক খবরে বলা হয়, তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু আঙ্কারায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেফরি ফ্লেককে বলেছেন, ‘তুরস্ক থেকে আপনার নোংরা হাত সরিয়ে নিন।’ শনিবার তুরস্কের হেবারতুর্ক পত্রিকা এ তথ্য জানিয়েছে। সোয়লু বলেন, ‘তুরস্কে আসা প্রত্যেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতই তুরস্কে কিভাবে একটি অভ্যুত্থান সম্ভব করা যায় তা খুঁজে বের করার জন্য তাড়াহুড়ো করছেন।’ বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফ্লেককে সম্বোধন করে সোয়লু জোর দিয়ে বলেছেন, ‘আমি এখান থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সম্বোধন করছি। আমি জানি যে সাংবাদিকদের আপনি নিবন্ধ লিখেছেন। তুরস্ক থেকে আপনার নোংরা হাত সরিয়ে নিন। আমি খুব পরিষ্কার করে বলছি।’ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি অন্য অভিযোগে, তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন: ‘আমি খুব ভালো করেই জানি আপনি কীভাবে তুরস্কে বিবাদ সৃষ্টি করতে চান। তুরস্ক থেকে আপনার হাসি মুখ সরিয়ে নিন।’ ‘প্রত্যেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিজেকে জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে তারা তুরস্কের ক্ষতি করতে পারে। এটি বছরের পর বছর ধরে তুরস্কের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের একটি। তারা অন্য রাষ্ট্রদূতদের একত্রিত করে এবং তাদের পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করে। মার্কিন দূতাবাসগুলো ইউরোপেও একই কাজ করে, এভাবেই তারা ইউরোপকে পরিচালনা করে,’ সয়লু উল্লেখ করেছেন। ইস্তাম্বুলে সন্ত্রাসী হামলার বিপদের বিরুদ্ধে তুরস্কে মার্কিন নাগরিকদের সম্প্রতি জারি করা সতর্কতার প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথা বলেন। মার্কিন সতর্কতার উপর নির্ভর করে পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতেও সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতি গত সপ্তাহে ইউরোপে উগ্র ডানপন্থী ব্যক্তিদের পবিত্র কুরআনের কপি পোড়ানোর আলোকে জারি করা হয়েছিল। পরে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাজ্য সহ অনেক পশ্চিমা দেশ ঘোষণা করেছে যে, তারা ‘নিরাপত্তার কারণে’ এবং ‘সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক আক্রমণ’ এর জন্য ইস্তাম্বুলে তাদের কনস্যুলেট বন্ধ করে দেবে। হেবারতুর্ক, মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।