পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ছাড়িয়ে এবার ভোটের মাঠে সাধারণ ভোটারদের মাঝে সাড়া ফেলেও অবশেষে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন হিরো আলম। মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে গিয়ে ফলাফল প্রত্যাক্ষাণও করেছেন তিনি। রেকর্ড গড়ে প্রার্থী হওয়া হিরো আলমের পরাজয় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজনরা।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফলে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম ও কাহালু) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে জাসদের একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে (মশাল) ৮৩৪ ভোটে আশরাফুল আলমের পরাজয় হয়। ১৪ দল মনোনীত প্রার্থী (মশাল) ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন হিরো আলম (একতারা) ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পেয়েছেন।
তবে এই ফল ঘোষণার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নির্বাচনী এলাকায় হিরো আলম জিততে চলেছেন বলে হৈচৈ শুরু হয়। বুধবার রাত ৮টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও নির্বাচন অফিস সুত্রে বগুড়া ৪ সংসদীয় আসনভুক্ত দুই উপজেলার ১১২টি কেন্দ্রের ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে ভোটের ফলাফল প্রত্যাক্ষান করে হিরো আলম অভিযোগ করেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার ভোট কেন্দ্রে তাকে এবং সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। চাকলমা ভোট কেন্দ্রে যাওয়া মাত্রই তাকে বাঁধা দেয় পুলিশ। গত ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনেও চাকলমা ভোট কেন্দ্রে তার ওপর হামলা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন।
ফেসবুকে এনিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় বিপ্লব চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘হারুক জিতুক তাতে কিছু আসে যায় না, তবে সে এবার নির্বাচন করে সারা বাংলাদেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে, বেশীরভাগ মানুষের সমর্থন পেয়েছে এটাই তার সার্থকতা।তার সাহস দেখে আমি আসলেই মুগ্ধ। ইচ্ছা শক্তি মানুষকে কোথায় নিয়ে যায় হিরো আলম তার জ্বলন্ত প্রমাণ।হিরো আলম যদি এবার এমপি পদে প্রার্থী না থাকতো হয়তো দেশের অর্ধেক মানুষ জানতোই না যে দেশে উপনির্বাচন হচ্ছে।’
জীবন আহম্মেদ নামে অপর পাঠকের মন্তব্য, হিরো আলম জয়ী হলেও বাংলাদেশ সরকার তাহা কখনোই মেনে নিবেনা। কারন এমপি হতে হলে চোর হতে হবে। সহজ সরল মানুষ সাধারণ জনগণের টাকা পয়সা দেশের সম্পদ বাইরে পাচার করতে পারবেনা সুতরাং হিরো আলমকে এমপি হিসেবে মানিনা।
এম আব্দুল কাইয়ুম লিখেছেন, আমি মনে করি ৮৩৪ ভোটে হিরো আলমকে আসলে হারানো হয়েছে জোর করে। সে ১৯ হাজারের বেশী ভোট পেয়েছে। বিজয়ী পেয়েছে ২০ হাজারের চেয়ে কিছু বেশি। হিরো আলম জিতে গেলে ইজ্জৎ চলে যেতো তথাকথিত রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের। তাই তাকে জিততে দেয়া হয় নি৷ ১৯ হাজারের বেশী ভোট পাওয়া মানে হচ্ছে, মানুষ হিরো আলমকে ব্যাপকভাবে গ্রহন করেছে এবং বাকী ৮৩৪ ভোটের ব্যাবধান এটা আসলে শুধুমাত্র তাকে পরাজিত করার জন্য একটা সংখ্যা কেবল।
জয়প্রকাশ রায় তন্ময় লিখেছেন, শিক্ষিত চোরের চেয়ে অশিক্ষিত সৎ হিরো আলম দেশ ও জনগনের জন্য বেশি উপযোগী ছিল.নিশ্চয়ই তার লেভেলের যে লোক সংসদে আছে কিংবা রাজনৈতিক করতে আসে তাদের চেয়ে অনেক ভাল।সময় আর পরিস্থিতির কারনে আজ হিরো আলমেরা জন প্রতিনিধিত্ব করতে আসে।যোগ্য লোকেরা পালিয়ে বেড়াবে।
মোঃ সুমন আলী সরকার লিখেছেন, হিরো আলমকে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া যায়, শত হাসি-তামাশাকে তোয়াক্কা করে সে আজ জনগণের বহু ভালোবাসা অর্জন করেছে।যা তার প্রাপ্ত ভোটই প্রমাণ।এটা দুনিয়া এখানে কেউ কাউকে জায়গা দেন না নিজের জায়গা নিজেকেই করে নিতে হয় আর সেই কাজটা হিরো আলম করে দেখিয়েছে এজন্য তাকে স্যালুট জানানো উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।