মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পুলিশের গুলিতে আহত ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর দাস মারা গেছেন। গতকাল রোববার রাজ্যটির ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজরাজনগরের গান্ধী চকের কাছে তাকে গুলি করেন গোপাল দাস নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা।
গুলিতে মারাত্মক আহত স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোরকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ভুবনেশ্বরের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
মন্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাপোলো হাসপাতাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মন্ত্রীকে আইসিওতে রেখে হৃদযন্ত্র সচল করতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা সত্ত্বেও তার জ্ঞান ফেরেনি এবং তিনি মারা যান। অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তার পদ সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর। খবর এনডিটিভির।
উল্লেখ্য, ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর দাসকে রোববার ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজরাজনগরের গান্ধী চকের কাছে এক সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর গুলি করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে তাকে গুলি করা হয় এবং সেটি তার বুকে লাগে।
এনডিটিভি জানায়, পুলিশ অফিসার দুই রাউন্ড গুলি করলে মন্ত্রী গুরুতর আহত হন। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্রজরাজনগর পুলিশের কর্মকর্তা গুপ্তেশ্বর ভৈ সাংবাদিকদের বলেন, গোপালকে স্থানীয়রা ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। হামলার কারণ এখনো জানা যায়নি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘রোববার পূর্ব নির্ধারিত একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নব দাস। তিনি ঘটনাস্থলে এলে তাকে স্বাগত জানাতে ভিড় জমে যায়। আর এর মধ্যেই হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। আমরা এক পুলিশ সদস্যকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যেতে দেখেছি।’
মন্ত্রীকে গুলি করা ওই পুলিশ কর্মকর্তা গান্ধী চক পোস্টে ডিউটিতে ছিলেন। মন্ত্রী আসার খবর পেতেই তিনি ওই দলীয় কার্যালয়ের কাছে যান। মন্ত্রী গাড়ি থেকে নামতেই তিনি নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালান।
ওড়িশার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশা টিভি জানিয়েছে, অভিযুক্ত গোপাল দাস মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এ ছাড়া তার উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা আছে। মন্ত্রীকে গুলি করার ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তার অসুস্থতার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।