মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন বিমান হামলায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শত শত মিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ ধ্বংস হয়েছে। আইএসের আর্থিক ক্ষমতা সংকুচিত করার জন্যই এ সব বিমান হামলা চালানো হয় বলে বুধবার একজন মার্কিন সামরিক মুখপাত্র জানান। খবর রয়টারস।
ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষে কর্নেল স্টিভ ওয়ারেন বলেন, ইরাক এবং প্রধানত সিরিয়ার তেল প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণ স্থাপনাগুলো বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু। বিমান হামলার ফলে সংগৃহীত নগদ অর্থ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে আইএস তাদের যোদ্ধাদের বেতন অর্ধেকে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে।
এপি জানায়, আইএস এখন ব্যয় মিটাতে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তারা এ অঞ্চলে তাদের যোদ্ধাদের বেতন হ্রাস করেছে। তারা রাক্কার অধিবাসীদের ইউটিলিটি বিল কালোবাজার থেকে কেনা মার্কিন ডলারে প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে ৫শ’ ডলার নিয়ে একেকজন আটক ব্যক্তিকে মুক্তি প্রদান করছে।
ওয়ারেন বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইএস তাদের যোদ্ধাদের বেতন ৫০ শতাংশ হ্রাস করেছে। তিনি বলেন, বিমান হামলা যে তাদের রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতাকে সংকুচিত করে ফেলছে এটা তারই প্রমাণ। এর আগে ওয়ারেন বলেছিলেন যে আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় তাদের লাখ লাখ ডলার বিনষ্ট হয়েছে। কিন্তু বুধবার তিনি বলেন, সর্বশেষ হিসেবে দেখা যায় যে কোটি কোটি ডলার ধ্বংস হয়েছে।
তিনি বলেন, অক্টোবর থেকে আইএসের অর্থ ভা-ারের উপর দশবার বিমান হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে সাতবার ইরাকে ও তিনবার সিরিয়ায়। গত সপ্তাহান্তে মসুলে আইএসের দু’টি অর্থ বিতরণ কেন্দ্র ও দু’টি অর্থ ভা-ারে ৫ বার বিমান হামলা চলে।
এদিকে পেন্টাগন জানায়, ২০১৪ সালে আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় ৬ হাজার ২শ’ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। দৈনিক গড় ব্যয় ১ কোটি ১৫ লাখ ডলার।
আইএসকে কিছুদিন আগেও বিশে^ সবচেয়ে বিত্তশালী উগ্রপন্থী সংগঠন বলে গণ্য করা হতো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।